অনলাইন বিপণির তথ্য হাতিয়ে প্রতারণা, ধৃত ১১

আপাতদৃষ্টিতে একটি কল সেন্টার। দেখলে মনে হবে, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কাজ চলছে। কিন্তু আসলে সেখানে চলত বিভিন্ন গ্রাহককে ফোন করে প্রতারণার কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি

আপাতদৃষ্টিতে একটি কল সেন্টার। দেখলে মনে হবে, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কাজ চলছে। কিন্তু আসলে সেখানে চলত বিভিন্ন গ্রাহককে ফোন করে প্রতারণার কাজ।

Advertisement

বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া (২)-এর একটি বাড়িতে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। সেখান থেকে চার জন যুবক ও সাত জন যুবতীকে গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একটি অনলাইন বিপণির গ্রাহকদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছে। শনিবার ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হলে চক্রের অন্যতম দুই মাথা কিষণ শর্মা ও আনন্দ শর্মাকে ছ’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। বাকিদের দেওয়া হয় ১৪ দিনের জেল হেফাজত। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, অসংখ্য সিম কার্ড, নগদ ৯৩ হাজার ৬৯০ টাকা, এটিএম কার্ড এবং একটি অনলাইন বিপণির অসংখ্য গ্রাহকের তথ্য।

পুলিশ জানায়, ধৃতেরা অন্য রাজ্যের গ্রাহকদের ফোন করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। প্রতারিতদের মধ্যে এ রাজ্যের গ্রাহকেরাও আছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। তাঁদের সম্ভবত ফোন করত এই চক্রেরই ভিন্ রাজ্যে কল সেন্টার খুলে বসা জালিয়াতেরা। যে রাজ্যে যে কল সেন্টার রয়েছে, তাদের কাজ ছিল অন্য রাজ্যের গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলা। কারণ একটাই, পুলিশের ভয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই জালিয়াতেরা একটি অনলাইন বিপণির গ্রাহকদের তথ্য কোনও ভাবে সংগ্রহ করেছিল। সেখান থেকেই গ্রাহকদের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। বলা হত, তাঁরা ‘লাকি ড্র’ জিতেছেন। পুরস্কার হিসেবে রয়েছে এলইডি টিভি, আই ফোন, ফ্রিজ-সহ নানা সামগ্রী। তবে সেগুলি পেতে হলে কিছু জিনিস কিনতে হবে।

Advertisement

যে সব গ্রাহক রাজি হতেন, তাঁদের নির্দিষ্ট একটি ই-ওয়ালেটের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে বলা হত। টাকা জমা দেওয়ার পরে জালিয়াতদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারতেন না গ্রাহকেরা। এই ভাবে অভিযুক্তেরা লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ শুরু হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যারা ওই কল সেন্টারে কাজ করত, তাদের মাসিক বেতন ছাড়াও গ্রাহক-পিছু কমিশন ছিল। সেই তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ওই কল সেন্টারে ১৫টি কম্পিউটার ছিল। তবে মূলত ভিন্ রাজ্যের গ্রাহকদেরই প্রতারিত করা হত ওই কল সেন্টার থেকে। ওই চক্রের কারা, কোথা থেকে এই রাজ্যের গ্রাহকদের প্রতারিত করছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement