উত্তরপ্রদেশে গিজ়ারের গ্যাস লিক্ হয়ে মৃত্যু কিশোরীর। — প্রতীকী চিত্র।
স্নান করার সময় গিজ়ারের গ্যাস লিক করে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। বাড়ির স্নানঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বছর ষোলোর ওই কিশোরীর দেহ। স্নানঘরের দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ রাখা ছিল। ফলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হলেও স্নানঘর থেকে বার হতে পারেনি কিশোরী। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় কিশোরী বাড়িতে একাই ছিল। তার মা দোকানে গিয়েছিলেন কিছু কেনাকাটি করতে। মৃতার ভাই জানিয়েছেন, কিশোরীর বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। এর আগেও বেশ কয়েকবার সে স্নানঘরে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকেই আগাম সতর্কতা হিসাবে পরিবারের সদস্যেরা স্নানঘরের দরজা বাইরে থেকেই বন্ধ রাখেন।
কিশোরীর মা বাড়ি ফেরার পর স্নানঘরের দরজা খুলে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, বছর দুয়েক আগেও এক বার স্নানঘরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল কিশোরী। পরে আবার সুস্থও হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের অনুমান, গিজ়ার থেকে লিক হওয়া গ্যাস স্নানঘর থেকে বার হওয়ার জায়গা না থাকার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে গিজ়ার ফেটে মৃত্যু হয় এক নববধূর। বিয়ের পাঁচ দিনের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে গিজ়ার ফেটে মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, স্নানঘরের মেঝেতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন মহিলা। পাশেই গিজ়ারটি ভেঙেচুরে পড়ে ছিল। দ্রুত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বরেলীর ওই দুর্ঘটনার পর এ বার আলিগড়ে গিজ়ারের গ্যাস লিক হয়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরীর।