ছবি: সংগৃহীত।
জল্পনাকল্পনা চলছিল ঠিকই। তবে শেষ পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সান্ধ্য শাখা বন্ধ হচ্ছে না। ২৩ নভেম্বর, সোমবার স্নাতকোত্তর কলা বিভাগের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ওই শাখাতেও ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ভর্তি কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, মূলত শিক্ষক-সংখ্যা কম বলেই ইতিহাস বিভাগ তাদের সান্ধ্য শাখা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগের বিরুদ্ধে সরব হন ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ বার বার বিক্ষোভ দেখায়। ওই শাখা চালু রাখতে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও অত্যন্ত আগ্রহী। উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি নিজে পড়াবেন। শুক্রবার বেশি রাত পর্যন্ত অনলাইনে কলা বিভাগের ভর্তি কমিটির বৈঠক চলে। উপাচার্য সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইতিহাসের সান্ধ্য শাখা চালু থাকবে। এক জন কো-অর্ডিনেটর ওই শাখার দেখভাল করবেন। ওই শাখাটির জন্য একটি অ্যাকাডেমিক অ্যাডভাইজ়রি কমিটিও গড়া হয়েছে।
উপাচার্য শনিবার জানান, ভর্তি কমিটিতে যে-সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, এ বার তা বোর্ড অব স্টাডিজ়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, বোর্ড অব স্টাডিজ় এর বিরুদ্ধে মত দেবে না। প্রয়োজনে তাদের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন। ‘‘অতিমারির এই সময়ে ছাত্রস্বার্থের পরিপন্থী কোনও কাজ বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারে না। তাই ওই শাখা চালু থাক, এটাই চেয়েছি,’’ বলেন উপাচার্য।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন আচার্য মজুমদার এ দিন বলেন, ‘‘আমরা বার বার জানিয়েছি, ইতিহাদের সান্ধ্য শাখা চালাতে হবে। কলা বিভাগের ভর্তি কমিটির বৈঠকে সেই বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ওই শাখায় ভর্তি-প্রক্রিয়া কলা বিভাগের অন্যান্য বিষয়ে ভর্তির সঙ্গে শুরু করার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।’’
শুভায়ন জানান, ইতিহাস বিভাগে ১৪ জন শিক্ষক। সংস্কৃত বিভাগে রয়েছেন সাত জন। বাংলা বিভাগে আছেন ন’জন। সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ সেই শিক্ষকদের নিয়েই সান্ধ্য শাখা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের দাবি ছিল, ইতিহাসের সান্ধ্য শাখা চালু রাখতেই হবে। প্রয়োজনে আংশিক সময়ের শিক্ষক আনা হোক।