দিন দিন শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। — ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল কলকাতায়। মৃত দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, মৃতার নাম ববিতা রায়। বয়স ৩৫ বছর। ২৪ অগস্ট, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ দক্ষিণ দমদম পুরসভা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ববিতাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এক দিন আগে, বুধবার কলকাতায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। নিউ আলিপুরের বাসিন্দা সৃজন বসুকে তার দু’দিন আগে ভর্তি করানো হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। সূত্রের খবর, কিশোরের মৃত্যুর সংশাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই কিশোরকে। রক্ত পরীক্ষায় রিপোর্ট এসেছিল পজ়িটিভ।
পুরসভা সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছুঁইছুঁই। পুরসভার দাবি, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। যদিও সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী লেখচিত্র চিন্তা বাড়াচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ৫, ২১ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। কিছু দিন আগেই দেখা গিয়েছিল, ২১ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি। শিশু উদ্যানের খেলার সামগ্রীতে জমা বৃষ্টির জলে ভাসছে ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা। ওই দুই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধিদের অবশ্য দাবি, এলাকায় সাফাই, জমা জল সরানো, মশা নিয়ন্ত্রণে জোরকদমে কাজ চলছে। এক পুরকর্তা জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সমস্ত কাজে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এ বার সেই দক্ষিণ দমদমে মৃত্যু হল এক ডেঙ্গি আক্রান্তের।