প্রস্তুতি: মেট্রোপথে চলছে পরিদর্শন। বৃহস্পতিবার। ছবি: অরুণ লোধ
মাত্র দেড় মাসের মহড়া দৌড়ের পরেই জোকা-তারাতলা মেট্রোপথে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে মরিয়া মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাই বৃহস্পতিবার ওই পথে মেট্রোর যাবতীয় পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি। এ দিন উত্তর সীমান্ত রেলের ভারপ্রাপ্ত রেলওয়ে সেফটি কমিশনার লতিফ খানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত সাড়ে ছ’কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোপথে ট্রেন চালানোর যাবতীয় পরিকাঠামো পরীক্ষা করে দেখে।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জোকা ডিপো থেকে পরিদর্শন শুরু করে স্টেশন কন্ট্রোল প্যানেল, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, পাম্প, হাইড্র্যান্ট, সাব-স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, লাইন, পয়েন্ট, এসক্যালেটর-সহ একাধিক ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখা হয়। ওই পথে ছ’টি স্টেশন (জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা) পড়ছে। সাড়ে ছ’কিলোমিটারের ওই পথ ট্রলিতে চেপে পরীক্ষা করা ছাড়াও একটি নন-এসি রেক নিয়ে গতির মহড়া চলে। তবে আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা সচল থাকলে সচরাচর যে গতিতে (ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার) মহড়া হয়, তার চেয়ে অনেক কম গতিতে এ দিন মহড়া দেওয়া হয়।
পরিদর্শন-পর্ব শেষে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই নিজের পর্যবেক্ষণের কথা জানাতে পারেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। সব কিছু ঠিক থাকলে ‘ওয়ান ট্রেন সার্ভিস’ হিসাবে মেট্রো চলাচলের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে দিনে মাত্র একটি ট্রেনকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে চালানো হবে। ফলে ওই রুটে মেট্রো পেতে যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষাকরতে হবে।
মেট্রো সূত্রের খবর, কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র পেলে যাত্রী পরিবহণের জন্য কলকাতা মেট্রো থেকে নতুন এসি রেক জোকায় নিয়ে যাওয়া হবে। ট্রেলারের মাধ্যমে মেট্রোর আটটি কামরা একে একে জোকায় নিয়ে গিয়ে, তাদের জোড়া দিয়ে ট্রেন তৈরি করা হবে। এ জন্য মেধা সিরিজের ১৮ নম্বর রেকটিকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।