Jogesh Chandra Choudhuri Law College

যোগেশচন্দ্র ল কলেজে গেল সিআইডি, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

২০১৮ সালের অক্টোবরে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের পরিচালন সমিতির (গভর্নিং বডি) প্রাক্তন সদস্য তথা অধ্যক্ষ সুনন্দার বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি এবং আর্থিক অনিয়মের মামলা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৫৯
Share:

যোগেশচন্দ্র ল কলেজে সিআইডি। —নিজস্ব চিত্র।

যোগেশচন্দ্র ল কলেজে পৌঁছে গেল রাজ্য সিআইডি-র একটি দল। বুধবার দুপুরে ভবানী ভবন থেকে সিআইডি-র একটি দল পৌঁছয় ওই কলেজে। যদিও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কি না, এ নিয়ে কোনও তথ্য এখনও মেলেনি।

Advertisement

বস্তুত, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েন্‌কাকে অপসারণের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, সুনন্দার অপসারণ এবং তাঁর অফিস তালাবন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। যদিও গত বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও মূল মামলা শুনানি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে নিজের যোগ্যতার স্বপক্ষে বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা দিতে হবে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। এর মধ্যে ওই কলেজে গেল সিআইডি।

বস্তুত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের পরিচালন সমিতির (গভর্নিং বডি) প্রাক্তন সদস্য তথা অধ্যক্ষ সুনন্দার বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি এবং আর্থিক অনিয়মের মামলা হয়। গত বছরের নভেম্বরে এ নিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। চারু মার্কেট থানার তরফে তদন্ত শুরু হয়। পরে ওই মামলা যায় কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড সেকশনে। সুনন্দার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা হয়। যে সব ধারায় মামলা করা হয়েছে তাতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে সুনন্দার। ওই মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়ে জানান, ১৮ অক্টোবর তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে সিআইডিকে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি।’’ অন্য দিকে, ওই মামলার সময় প্রাক্তন অধ্যক্ষ মানিক ভট্টাচার্য (বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক) তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ওঠে। তার পরেও অ্যান্টি ফ্রড সেকশন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement