আরজি করে সিবিআই তদন্তকারী দল। ছবি: পিটিআই।
শনিবার সকালে ফের আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এরপর সকালে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সকাল ১০টার কিছু পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান সন্দীপ। এরই মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আরজি করে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। আর তাতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। সন্দীপের থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কি মিলেছে? সেই সূত্রেই ফের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্তকারীরা? স্বাভাবিক ভাবেই এখনই উত্তর মিলছে না।
এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের কর্মীদের ব্যারাকেও পৌঁছে গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্রের দাবি, ঘটনার পরের দিন সেখানেই চলে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকে আরজি করের ঘটনাস্থল একাধিক বার পরিদর্শন করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। মঙ্গলবার হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইকে তদন্তভার হস্তান্তরের জন্য। এর পর বুধবার থেকেই আরজি করে যাতায়াত শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রের পর শনিবারও ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন এক দল দুষ্কৃতী গভীর রাতে ঢুকে পড়েছিল আরজি কর হাসপাতালে। অবাধে চলে ভাঙচুর। এ সবের মধ্যেই শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআইকে নির্দেশ দেয়, ঘটনাস্থল সুরক্ষিত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম সুরক্ষিতই রয়েছে।
এ বার এক দিকে যখন সন্দীপকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, ঠিক তখনই আরজি করের অকুস্থলে তথ্যানুসন্ধানে পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ স্ক্যানারও রয়েছে তাঁদের সঙ্গে। এই নিয়ে টানা চার দিন আরজি কর হাসপাতালে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল।
মঙ্গলবার হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার জন্য। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই তদন্ত সংক্রান্ত নথিপত্র সিবিআইকে হস্তান্তর করে কলকাতা পুলিশ। নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও ইন্টার্নের নাম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একাধিক অভিযুক্ত জড়িত থাকতে পারেন বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন বলেও ওই সূত্রের দাবি।