ঘটনার পরে উত্তেজিত কেয়া-সহ বিজেপি সমর্থকেরা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের প্রচার চলাকালীন ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বিজেপি-র এক কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে হামলাকারী যুবককে পালাতে সাহায্য করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে পদ্ম-শিবিরের তরফে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বিজেপি-র দাবি, সোমবার দুপুরে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে কেয়ার সমর্থনে বাড়ি বাড়ি প্রচার চলাকালীন হঠাৎই একদল যুবক চড়াও হন। তাঁদের মধ্যে এক জন ছুরি দিয়ে কেয়ার সঙ্গী এক বিজেপি কর্মীকে আঘাত করেন। গন্ডগোলের সময় পুলিশ হাজির থাকলেও কোনও তৎপরতা দেখায়নি। বরং ছুরি হাতে থাকা হামলাকারী যুবককে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কৌশলে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ কেয়ার সমর্থকদের।
ঘটনার কথা শুনেই এলাকায় যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেয়া। তাঁরা রবীন্দ্র সরোবর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রচারের জন্য আগাম অনুমতি নেননি বিজেপি প্রার্থী। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘জনসভা বা মিছিল করলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বাড়ি বাড়ি প্রচারের জন্য পুলিশি অনুমতি নেওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের বিধিতে রয়েছে বলে কখনও শুনিনি।’’ প্রসঙ্গত, আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন। গণনা ১৬ এপ্রিল। ওই কেন্দ্রে কেয়ার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়।