রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের খুন এবং তার পরবর্তী হিংসায় ৮ জনের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। তার আঁচ পৌঁছেছে রাজধানী দিল্লিতেও। বৃহস্পতিবার শাহের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘রামপুরহাটের ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা বলেছি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে অপসারণ করা উচিত।’’
অমিত শাহের বাসভবনে জগদীপ ধনখড়। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
বগটুই-কাণ্ড ঘিরে উত্তেজনার আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ দাবি করেছিলেন তৃণমূল সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। সোমবার দুপুরে শাহের ‘দরবারে’ গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন ধনখড়।
কোনও তরফেই বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। রাজ্যপালের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’
রাজ্যপাল কী কারণে হঠাৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের শাসক শিবিরের একাংশের ধারণা, বীরভূমের রামপুরহাটে হত্যাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির বিষয়টি শাহ দরবারে ‘নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন’ ধনখড়। এ ছাড়াও রাজ্যের সাম্প্রতিক কয়েকটি বিষয় নিয়েও দু’জনের আলোচনা হয়েছে মনে করা হচ্ছে।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের খুন এবং তার পরবর্তী হিংসায় ৮ জনের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। তার আঁচ পৌঁছেছে রাজধানী দিল্লিতেও। বৃহস্পতিবার শাহের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা বলেছি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে অপসারণ করা উচিত। তাঁর কাজকর্ম সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিপন্থী। এর ফলে সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই বিপদে পড়ছে।’’
সুদীপ জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপালকে লেখা একটি চিঠির প্রতিলিপি অমিতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ভাল ভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন। যদিও এর পরেই শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট বগটুই-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, বগটুই-কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি চুপ থাকতে পারেন না।