শিক্ষকদের বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাই কোর্টের বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেছিলেন, কেন শহরাঞ্চলের স্কুলেই বেশির ভাগ শিক্ষকরা বদলি চাইছেন? —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে শিক্ষক বদলির নতুন নিয়ম আনল শিক্ষা দফতর। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পরেই সামনে এল শিক্ষা দফতরের নতুন বিজ্ঞপ্তি।
শুক্রবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের তরফে শিক্ষকদের বদলি নিয়ে নতুন নিয়ম আনা হচ্ছে। এ বার কোন স্কুলে কত শিক্ষক রয়েছেন, তা আগে থেকে জানাবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকেরা। তার পরেই বদলি হবে।
শুক্রবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বার থেকে একই জেলায় বদলির ক্ষেত্রে দেখা হবে সংশ্লিষ্ট জেলার কোন স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কত। আবার যে স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, সেই স্কুলের শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকাকে অন্য জেলার অন্য কোনও স্কুলেও বদলি করা যেতে পারে। অবশ্য সে ক্ষেত্রে দেখে নেওয়া হবে, ওই স্কুলে শিক্ষকের অভাব রয়েছে কি না। বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়েছে কোনও পুরুষ শিক্ষককে মহিলাদের স্কুলে বদলি করা যাবে না।
আগে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালে বদলির জন্য আবেদন করতে পারতেন শিক্ষকেরা। সেখানে তিনটি স্কুলে বদলির বিকল্প থাকত। কিন্তু নতুন নিয়মে আর সেই সুযোগ থাকছে না। এখানে মূল বিবেচ্য হল, কোন স্কুলের শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত কত।
শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তিতে জানাচ্ছে, নতুন চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের এমন স্কুলে বদলি করা যেতে পারে, যেখানে ছাত্রের অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম। অন্য দিকে, যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী, যাঁদের সন্তান বয়সে ছোট এবং যে সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকার অবসরগ্রহণের আর ২ বছর বা তার কম সময় আছে, তাঁদের আর বদলি করা যাবে না।
শিক্ষকদের বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাই কোর্টের বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেছিলেন, কেন শহরাঞ্চলের স্কুলেই বেশির ভাগ শিক্ষকরা বদলি চাইছেন?এর পরই রাজ্যের তরফে জানানো হয় শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, গত এক বছরে রাজ্যের ২০ হাজার শিক্ষক বদলি হয়েছে।