গত ১৯ জানুয়ারি নদিয়ার নাজিরপুরের মৃগী এলাকায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্যারা মেডিক্যাল পড়ুয়ার দেহ। —প্রতীকী চিত্র।
নদিয়ার তেহট্টের প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে আনল পুলিশ। শুক্রবারই তাঁদের মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
হাসিবুল শেখকে খুনের ঘটনায় দিল্লি থেকে ধৃত মূল অভিযুক্ত মহরম শেখকে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে দিল্লির কালিংডিকুঞ্জ থানা এলাকার খাড্ডা কলোনি থেকে তাঁকে পাকড়াও করে। সেখান থেকে বিশেষ রিমান্ডে নদিয়ায় নিয়ে আসা হয় শুক্রবারই।
গত ১৯ জানুয়ারি নদিয়ার নাজিরপুরের মৃগী এলাকায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্যারা মেডিক্যাল পড়ুয়ার দেহ। ২০ বছরের হাসিবুল রহমানকে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন করা হয়। কর্নাটকের একটি বেসরকারি প্যারামেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘটনায় সামনে আসে মহরমের নাম।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহরম শেখ ওই ঘটনার রাত থেকেই পলাতক ছিলেন। সূত্র মারফত খবর পেয়ে বেশ কয়েকবার তাঁকে ধরার ফাঁদ পাতলেও কোনও না কোনও ভাবে তিনি চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যান। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বস্ত সূত্রে পুলিশ খবর পায় মহরম ডেরা বেঁধেছে সুদূর দিল্লিতে। আর দেরি করেনি পুলিশ। ওই দিনই একটি দল রওনা হয় দিল্লি। ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লী পুলিশের সহায়তায় খাড্ডা কলোনি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি সপ্তাহ খানেক আগে ভাঙাচোরা জিনিস কেনাবেচার দোকানে কাজ শুরু করেন। গ্রেফতারি এড়াতেই তিনি দিল্লি পালান বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন মহরম। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে এখন খুনের কারণ খুঁজতে চাইছেন তদন্তকারীরা।