প্রতীকী ছবি।
জ্বর-কাশি ছিলই। ওই অবস্থায় পর পর দু’দিন স্কুলে এসেছিলেন প্রধান শিক্ষক। তার দু’দিন পরেই করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে ইছাপুরের একটি স্কুলের ওই শিক্ষকের। দু’দিনে ওই শিক্ষকের সংস্পর্শে এসেছেন স্কুলের ১২ জন শিক্ষক। মিড-ডে মিলের চাল এবং পাঠ্যবই নিতে পড়ুয়া এবং অভিভাবক মিলে অন্তত ৩০০ জন স্কুলে এসেছিলেন। ফলে প্রধান শিক্ষকের আক্রান্ত হওয়ার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক জন শিক্ষক কী করে এতটা অসচেতন হলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ওই প্রধান শিক্ষক শনিবার বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রবিবার স্থানীয় পুরসভার তরফে গোটা স্কুল ভবনকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। অথচ বুধবার থেকে ওই স্কুল চালু করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী ওই ১২ জন শিক্ষকের আইসোলেশনে থাকার কথা। অথচ ডিউটি থেকে তাঁদের ছুটিই মেলেনি বলে খবর। এ নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। আগামী বুধবার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার কথা। এই অবস্থায় তাদের পাঠানো ঠিক হবে কি না, সেটাই বুঝতে পারছেন না অভিভাবকেরা।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক, তথা উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রধান শিক্ষকের উপসর্গ ছিল, উনি ওই অবস্থায় স্কুলে না এলেই ভাল হত। রবিবার স্কুল বিল্ডিং স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। বুধবার স্কুল খুলবে বলে জানানো হয়েছে।”
এক শিক্ষক বলেন, “ওঁর উপসর্গ ছিল। আমরা ওঁকে বাড়ি যেতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি নিশ্চিত ছিলেন যে, করোনা হয়নি। আমি ওঁর সংস্পর্শে এসেছিলাম বলে বাড়িতে আলাদা থাকছি। আবার স্কুলে যেতে হবে এখন শুনছি। জানি না তাতে কোনও সমস্যা হবে কি না। কিন্তু সরকারের থেকে নির্দেশ যেমন আসবে, তেমনই পালন করতে হবে। অন্তত ১০ দিন দেখে নেওয়া জরুরি ছিল বলেই জানতাম।”
ব্যারাকপুরের স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দীপঙ্কর রায় বলেন, “এই ঘটনাটা তো জানতামই না। এমন কিছু ঘটে থাকলে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা না বলে স্কুল খোলা ঠিক হবে না। বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”