Prawn

বাগদার মিন লুটের ঘটনায় ধৃত আরও দুই 

ঘটনাটি ঘটে গত ২২ মার্চ। ওড়িশা থেকে ১৬০টি প্যাকেটে প্রায় দু’লক্ষ টাকার বাগদা চিংড়ির মিন নিয়ে একটি গাড়ি ইএম বাইপাসের সায়েন্স সিটির কাছে এসেছিল রাতে। গাড়িতে চালক ছাড়াও ছিলেন এক জন ম্যানেজার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:০৯
Share:

শহরের বুকে প্রায় দু’লক্ষ টাকার বাগদা চিংড়ির বাচ্চা (মিন) ডাকাতি। প্রতীকী ছবি।

শহরের বুকে প্রায় দু’লক্ষ টাকার বাগদা চিংড়ির বাচ্চা (মিন) ডাকাতি এবং সেই সূত্রে এক জনকে অপহরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দমদম থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের ডাকাতি দমন শাখা। ধৃতদের নাম রতন মণ্ডল ও সৌম্যজিৎ রায়চৌধুরী। প্রায় দু’লক্ষ টাকার চিংড়ি লুটের এই ঘটনায় ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় এর আগে এক জন গ্রেফতার হয়েছিল। তবে, লুটের চিংড়ি পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। খোঁজ মেলেনি বাকি ডাকাতদেরও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ মার্চ। ওড়িশা থেকে ১৬০টি প্যাকেটে প্রায় দু’লক্ষ টাকার বাগদা চিংড়ির মিন নিয়ে একটি গাড়ি ইএম বাইপাসের সায়েন্স সিটির কাছে এসেছিল রাতে। গাড়িতে চালক ছাড়াও ছিলেন এক জন ম্যানেজার। তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। অভিযোগ, কলকাতায় ঢোকার পর থেকেই অন্য একটি গাড়ি চিংড়ি-ভর্তি গাড়িটির পিছু নিয়েছিল। সায়েন্স সিটি পার করে বাসন্তী হাইওয়েতে ওঠার মুখে সেই গাড়িটি সামনে এগিয়ে গিয়ে চিংড়ি-ভর্তি গাড়ির পথ আটকায়। দুই ডাকাত তাদের গাড়ি থেকে নেমে এসে চিংড়ির গাড়ির চালককে ওই গাড়ি থেকে বার করে আনে। অন্য দু’জন চিংড়ির গাড়িতে থাকা ম্যানেজারের হাত বেঁধে ভিতরে বসিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, চিংড়ির গাড়ির চালক কোনও মতে ডাকাতদের হাত ছাড়িয়ে পালান। ডাকাতেরা ম্যানেজার ও চিংড়ি-ভর্তি গাড়িটিকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে অন্য একটি গাড়িতে ডাকাত-দলের বাকিরা অপেক্ষা করেছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, মিনের প্যাকেটগুলি অন্য গাড়িতে তুলে দেয় অভিযুক্তেরা। সেটি চলে যায় মিনাখাঁর দিকে। বাকি ডাকাতেরা ম্যানেজারকে মারধর করে চিংড়ির গাড়ি সমেত তাঁকে ইকো পার্কের কাছে ছেড়ে দেয়।

চিংড়ি-ভর্তি গাড়িটির চালক খানিক ক্ষণ পরে প্রগতি ময়দান থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুরো ঘটনাটি সামনে আসে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এ মাসের গোড়ায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতার করা হয় এক জনকে। তার কাছ থেকেই বাকিদের খোঁজ মেলে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, লুটের পান্ডা মিনাখাঁ, বসিরহাট অঞ্চলের এক মাছ ব্যবসায়ী। সে বাকিদের ওই ডাকাতির কাজে লাগিয়েছিল টাকার লোভ দেখিয়ে। সেই মতো ন’জন যুবক দু’টি গাড়িতে করে এসে চিংড়ি লুট করে। ওই মিন উত্তর ২৪ পরগনার ভেড়িতে ছাড়া হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ভেড়ির জলে অসংখ্য বাগদার মিনের মধ্যে কোনগুলিকে লুট করে আনা হয়েছিল, তা চিহ্নিত করা অসম্ভব। অভিযুক্তেরা ওই মিন কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছে। যা ঢুকেছে তাদের অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement