কনকনে ঠান্ডায় প্রতিমা তৈরির মাঝে একটু উষ্ণতার আশায়। বালুঘাটের একটি কারখানায়। ছবি: অমিত মোহান্ত
কলকাতায় আবার পারদপতন। এক ধাক্কায় প্রায় দু’ডিগ্রি কমল শহরের তাপমাত্রা। কলকাতায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পারদপতনের কারণে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার এই মরসুমের শীতলতম দিন বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ সারা দক্ষিণবঙ্গের আকাশ বেলা অবধি কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকবে। বেলা বাড়তেই পরিষ্কার হবে আকাশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেও আবদবিদরা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক দিন ধরেই বাংলায় বেশ শীত পড়েছে। দিনভর কনকনে উত্তুরে হাওয়ার কারণে রোদের তাপ গায়ে লাগছে না। সকালে লেপ ছেড়ে বেরোতে গিয়েও মনে হচ্ছে আবার ঢুকে যাই। নলেন গুড় এবং পিঠের রসাস্বাদনেও নেমে পড়েছে বাঙালি। শীতকাতুরে বাঙালি এই শীতের আমেজ আরও বেশ কয়েক দিন উপভোগ করতে পারবেন বলেই আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনই কমছে না পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা। আরও কয়েক দিন তাপামাত্রা থাকবে নীচের দিকেই। ফলে জাঁকিয়ে পড়া শীত উপভোগ করতে পারবেন মানুষ।
কলকাতার পাশাপাশি রেকর্ড পারদপতন হয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে শীতের জাঁকে জবুথবু মানুষ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের পারদ নেমেছিল ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার সেখানে তাপমাত্রা কমেছে আরও কিছুটা। ভোর থেকেই রাস্তার ধারে বসে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে মানুষকে।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, জাঁকিয়ে শীত পড়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে। দার্জিলিঙে তাপমাত্রা নেমেছে ৪ ডিগ্রিতে। কালিম্পঙে ৭ ডিগ্রিতে।