Tanishaa Mukherji on Weight Loss Journey

শরীরচর্চা, কড়া ডায়েট করেও মেদ ঝরানো মুশকিল! কেন, জানালেন অভিনেত্রী তানিশা

‘নীল অ্যান নিক্কি’ ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর হঠাৎ অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বাড়তে শুরু করে তানিশার। শরীরচর্চা, কড়া ডায়েটে থেকেও আগের চেহারায় ফিরে আসা মুশকিল হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৫
Share:
অভিনেত্রী তানিশা মুখোপাধ্যায়।

অভিনেত্রী তানিশা মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

জন্মসূত্রে বাঙালি। তাই রক্তে ভাত-মাছ রয়েছে। সে কারণেই কি ‘নো কার্ব’ ডায়েটের প্রতি খুব একটা আস্থা নেই অভিনেত্রী তানিশা মুখোপাধ্যায়ের? মা তনুজা এবং দিদি কাজল। তানিশাও অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। তবে খুব বেশি দিন ক্রিজ়ে দেখা যায়নি তাঁকে। কাজলের বোন বরাবরই স্বাস্থ্যসচেতন। কিন্তু ‘নীল অ্যান নিক্কি’ ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর হঠাৎ অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বাড়তে শুরু করে অভিনেত্রীর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তানিশা জানান, “ওজন কমানো সহজ হলেও তা ধরে রাখা খুব কঠিন। আবার, রোগা হতে গিয়ে যদি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিয়ে দেন, তা হলেও বিপদ।”

Advertisement

এমনকি মহিলাদের শরীরে ফ্যাট থাকা কতটা প্রয়োজন, সে বিষয়েও আলোচনা করেন তানিশা। কারণ, স্নেহপদার্থ বা চর্বি ইস্ট্রোজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হরমোনেও নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়ার নেপথ্যে হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। তানিশা বলেন, “মেয়েরা নতুন প্রাণ সৃষ্টি করে। তাদের শরীরে একাধিক হরমোন থাকে। সুতরাং, শরীরে তার প্রভাব তো পড়বেই! নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয় সেই কারণে।”

‘নীল অ্যান নিক্কী’ ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর অভিনেত্রী তানিশা মুখোপাধ্যায়ের হঠাৎ ওজন বাড়তে শুরু করে। শরীরচর্চা চালিয়ে, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বলেন, “একটা সময়ে কার্ব খাওয়া বন্ধ করলেও পরে ভুল শুধরে নিই। কারণ, শারীরবৃত্তীয় কাজ সঠিক ভাবে চালনা করতে গেলে কার্ব প্রয়োজন। কার্বের অভাবে মস্তিষ্কও সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। সারা দিন প্রোটিন শেক খেলেও লিভার বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। তখন নিয়মিত ডিটক্স করতে হয়।”

Advertisement

দ্রুত মেদ ঝরাতে আজকাল অনেকেই ‘নো-কার্ব’, ‘নো-সুগার’, ‘নো-সল্ট’ ডায়েটের উপর ভরসা করেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এগুলি সাময়িক ভাবে ফলদায়ী। কোনওটিই দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে ভাল নয়। তাতে শরীরের উপকার তো হবেই না, উল্টে ক্ষতির পরিমাণ বেড়়ে যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement