ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: এক্স (টুইটার)।
মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। রবিবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারালেন নিকি প্রসাদেরা। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকার করে ৮২ রান। জবাবে ১১.২ ওভারে ১ উইকেটে ৮৪ ভারতের। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।
প্রায় একতরফা ভাবে ফাইনাল জিতে নিল ভারতীয় দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলের অধিনায়ক কায়লা রেনেকে। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তের মর্যাদা দিতে পারেননি দলের ব্যাটারেরা। ভারতের বোলিং আক্রমণের কোনও জবাবই দিতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। কুয়ালালামপুরের ২২ গজে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন তাঁরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোর চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাইকে ভ্যান ভুরস্ট। ১৮ বলে ২৩ রান করেন তিনি। মারেন ৩টি চার। এ ছাড়া দু’অঙ্কের রান পেয়েছেন ওপেনার জিমা বোথা (১৪ বলে ১৬), পাঁচ নম্বরে নামা কারাবো মিসো (২৬ বলে ১০) এবং সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা ফা কলিং (২০ বলে ১৫)।
ভারতের সফলতম বোলার গোঙ্গাদি তৃষা ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৬ রানে ২ উইকেট পারুনিকা সিসোদিয়ার। ৯ রান খরচ করে ২ উইকেট আয়ুষী শুক্লের। এ ছাড়া ২৩ রানে ২ উইকেট বৈষ্ণবী শর্মার। ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট শবনম শাকিলের।
বিশ্বকাপের জন্য ৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুধু ওপেনার জি কমলীনির (৮) উইকেট হারিয়েই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় দল। অন্য ওপেনার তৃষা ৩৩ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৮টি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তিন নম্বরে নামা সনিকা চালকে অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২৬ রান করে। ৪টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি ভারতীয় ব্যাটারেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নেন অধিনায়ক কায়লা।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার হল মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দু’বারই চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ২০২৩ সালের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ছিল ভারতের মেয়েরা। ২০২৭ সালের প্রতিযোগিতার আয়োজক বাংলাদেশ এবং নেপাল। সে বার ২০টি দেশ খেলবে বিশ্বকাপ।