মহুয়ার কালী মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কালী বিতর্কের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি বদলে ফেললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নতুন ডিপিতে কালীর ছবি রেখেছেন। এটি কালীঘাটের পটচিত্র।
ভারতীয় পরিচালক লানা মানিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্রের একটি পোস্টারে দেবী কালী রূপে সজ্জিত এক মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। তথ্যচিত্রটির পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়।
পোস্টার নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে সোমবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদ মহুয়াকে প্রশ্ন করা হলে একটি মন্তব্য করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়েও দানা বাঁধে নতুন বিতর্ক।
কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যে দলের যে সমর্থন নেই, তা মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিয়েছিল তৃণমূল। তথ্যচিত্র ‘কালী’-র পোস্টারের পক্ষে যে তাঁদের সমর্থন নেই, তাও বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
কালী নিয়ে তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, বুধবার সকালেই দেখা যায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ টুইটারে নিজের দলকে ‘আনফলো’ করেছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডল কিন্তু এখনও ‘ফলো’ করছেন।
অন্য দিকে, মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে বিজেপিও আক্রমণ শানাতে শুরু করে। মহুয়ার গ্রেফতারির দাবিতে বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, পাল্টা উত্তর দিয়েছেন মহুয়াও। বুধবার দুপুরে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘জয় মা কালী! যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক এবং শান্ত।’ পরের টুইটে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মহুয়া লেখেন, ‘আমি কালীর উপাসক। ভয় পাই না। আর যা সত্যি তাকে ঠেকনা দেওয়ার অন্য শক্তির প্রয়োজন হয় না। বিজেপি যা করতে চায় করে নিক।’