গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
কালী বিতর্কে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বুধবার দুপুরে বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা তাঁকে গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। দুপুরেই টুইটারে তার জবাব দিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তিনি লিখলেন, ‘আমি কালীর উপাসক। কোনও কিছুতে ভয় পাই না। বিজেপি যা করতে পারে করে নিক।’
দেবী কালী নিয়ে মহুয়ার মন্তব্যের সমালোচনা করে তাঁকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন বিজেপি নেতা এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বৌবাজার থানাতেও মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কিছু না জেনে, তাদের বিশ্বাস না বুঝে ‘মা কালী’ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগ এনেছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। মহুয়া সম্ভবত তারই জবাব দিতে টুইটারে বিজেপিকে নিশানা করে লিখেছেন, ‘আমি তোমাদের অজ্ঞতাকে ভয় পাই না, তোমাদের গুন্ডাদের ভয় পাই না, তোমাদের পুলিশকে ভয় পাই না, তোমাদের সমালোচনাকে তো নয়ই।’
উল্লেখ্য, ভারতীয় পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্রের একটি পোস্টারে দেবী কালী রূপে এক মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে সোমবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে তাঁকে করা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে একটি মন্তব্য করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে দানা বাঁধে নতুন বিতর্ক। এক দিকে মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করে বিজেপি। অন্য দিকে, সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফেও টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা মহুয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করছে না। বরং সাংসদের বক্তব্যের নিন্দা করছে।
বুধবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি পরে ‘আনফলো’ও করে দেন মহুয়া। কালী বিতর্কে দল মহুয়ার সঙ্গে দূরত্ব রচনা করছে বুঝেই সম্ভবত বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা দুপুরে বৌবাজার থানায় মহুয়ার গ্রেফতারি চেয়ে বিক্ষোভ দেখান। ৫৬টি অভিযোগ জমা দেন তাঁরা। তার পরই ন’মিনিটের তফাতে মহুয়ার পর পর দু’টি টুইট প্রকাশ্যে আসে।
প্রথম টুইট দেবী কালীর জয়ধ্বনি দিয়েই শুরু করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি লেখেন, ‘জয় মা কালী! যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক এবং শান্ত।’ পরের টুইটে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মহুয়া লেখেন, ‘ আমি কালীর উপাসক। ভয় পাই না। আর যা সত্যি তাকে ঠেকনা দেওয়ার অন্য শক্তির প্রয়োজন হয় না। বিজেপি যা করতে চায় করে নিক।’