—প্রতীকী ছবি।
মোদী সরকারের আমলে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে গরিব ও নিম্নবিত্তদের রেল সফর মহার্ঘ হয়ে ওঠার অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে কমেছে সাধারণ ও নন-এসি স্লিপার কামরা। বাতানুকূল এসি থ্রি-টিয়ার কামরার সংখ্যা বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বারে ৪৬টি ট্রেনে সাধারণ শ্রেণির কামরা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
সাধারণ অথবা নন-এসি স্লিপার কামরায় ঠাঁই না পেয়ে যাত্রীদের যথেচ্ছ বাতানুকূল কামরায় উঠে পড়ার পরে ভিড়ে ঠাসা কামরায় দুঃসহ সফরের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে বহু বার। এসি কামরায় উঠে মোটা টাকা জরিমানা দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোগান্তির একশেষ হয়। বৈধ টিকিট কেটে সফর করা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। গরিব যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলে রেল জরিমানার বিপুল টাকায় আয় বাড়াচ্ছে বলে নিন্দা হচ্ছে।
ভাবমূর্তি ফেরাতে এ বার খানিক উল্টোপথে হাঁটছেন রেল কর্তৃপক্ষ। সাধারণ কামরায় সফরের চাপ রয়েছে এমন ৪৬টি ট্রেনে ৯২টি সাধারণ শ্রেণির কামরা যোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। আরও ২২টি ট্রেনে সাধারণ কামরা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে বলে রেল বোর্ড সূত্রে খবর।
ওই সব ট্রেনের অধিকাংশ মূলত দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতগামী। পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য থেকে ওই সব ট্রেনে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক কর্মস্থলে যান। দক্ষিণ ভারতগামী বেশ কিছু ট্রেনে চিকিৎসার প্রয়োজনেও অনেকে যান। প্রথম দফায় গুয়াহাটি-বিকানের, শিলঘাট টাউন-তাম্বরম, ধানবাদ-আলাপুঝা, কাঠগুদাম-দেহরাদূন এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে দু’টি করে সাধারণ কামরা জুড়ছে। পূর্ব রেলও ৩৫টি ট্রেনে একটি করে থ্রি-টিয়ার এসি কামরা কমিয়ে সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণির কোচ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাওড়া-জোধপুর, হাওড়া-বিকানের, কলকাতা-গোয়ালিয়র, কলকাতা-জয়নগর এক্সপ্রেস, মুম্বই মেলের মতো ট্রেনেও সাধারণ কামরা বাড়ছে। সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে একটি করে টু-টিয়ার এসি ও থ্রি-টিয়ার এসি কামরা কমিয়ে দু’টি করে সাধারণ কামরা বাড়িয়েছে পূর্ব রেল। তার মধ্যে হাওড়া-ইন্দোর শিপ্রা এক্সপ্রেস, কলকাতা-ঝাঁসি এক্সপ্রেস আছে।