ভোটের কাজে নেওয়া গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে পরিবহণ সংগঠনগুলির চিঠি। — ফাইল চিত্র।
ভোটের কাজে নেওয়া গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিক পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে চিঠি দিয়েছেন পরিবহণ সংগঠনগুলির নেতারা। জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটরস নামে একটি মঞ্চের ছাতার তলায় পরিবহন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি সংগঠন এই চিঠিটি পাঠিয়েছে। এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অল বেঙ্গল মিনি বাস সমন্বয় সমিতির রাহুল চট্টোপাধ্যায়, অনলাইন ক্যাব অপারেটর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা, নর্থ বেঙ্গল প্যাসেঞ্জার্স ট্রান্সপোর্ট অপারেটর কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণব মানি এবং পুলকার অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত। এই পাঁচ সংগঠনের নেতারা ভোটের কাজে ব্যবহার হওয়ার সব ধরনের গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন।
গত সপ্তাহেই গাড়িভাড়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গাড়িগুলিকে যে দরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের অফিস ভাড়া নিয়েছিল, সেই দরেই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চিঠির একটি অংশে লেখা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বাস, মিনিবাস এবং বিভিন্ন ছোট যাত্রিবাহী গাড়ি চালানোর খরচ ৬৭ থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ডিজেল, টায়ার, গাড়ি কাঠামো, বিমা এবং গাড়ি চালানোর মজুরি সব কিছুই সরকারি নির্দেশিকায় কম করে দেখানো হয়েছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে ভাড়া নেওয়া গাড়িগুলির খরচ বর্তমান সময়কে মাথায় রেখে দেখা উচিত বলে জানিয়েছে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি। গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি, গাড়ির চালক এবং খালাসিদের খাওয়ার খরচ ও খোরাকি বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রতি দিন সাধারণ বাসের ভাড়া ২৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। মিনি বাসের ভাড়া ১৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করতে বলা হয়েছে। নন এসি ট্যাক্সির ভাড়া ৮১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করতে বলা হয়েছে। এসি ট্যাক্সির ভাড়া ১১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ টাকা করতে বলা হয়েছে। খোরাকি ও টিফিনের খরচ ১৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। নিজেদের দাবির পক্ষে অনলাইন ক্যাব অপারেটরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বর্তমান বাজারের কথা মাথায় রেখে কমিশনের উচিত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া। পরিবহণ পরিষেবার খরচ গত দু’বছরে কতটা বেড়ে গিয়েছে তা বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেই কমিশনের কর্তারা বুঝতে পারবেন। আমরা কমিশনকে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে কমিশনেরও উচিত আমাদের দিকটা ভেবে দেখা। তাই চিঠিতে বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করে গাড়ির ভাড়ার পরিমাণ কত হওয়া উচিত তার উল্লেখ আমরা করে দিয়েছি।”