জেসিপি দিয়ে খাল সংস্কারের কাজ চলছে, আরামবাগের পিরিজপুরে। —নিজস্ব চিত্র
সরকারি ছাড়পত্র মিললেও আরামবাগের নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এ নিয়ে বন্যাপ্রবণ এই মহকুমায় সাধারণ মানুষের উদ্বেগ এবং ক্ষোভ বাড়ছে। এর মধ্যে স্বস্তি— লকডাউনে বন্ধ থাকা ‘আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান’-এর কাজ বুধবার থেকে শুরু হল।
এ দিন থেকে ওই প্রকল্পে কানা দ্বারকেশ্বর নদের কাবলে, পিরিজপুর হয়ে চকভেদুয়া পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ওই অংশের প্রকল্প রূপায়ণের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সেচ দফতরের চাঁপাডাঙা ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার বোনকেশ ওঝা বলেন, ‘‘আমাদের অংশের আর মাত্র দু’কিলোমিটারের কাজ বাকি আছে। চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে।’’
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পে আরমবাগের চাঁদুর থেকে খানাকুলের চকভেদুয়া পর্যন্ত মোট ৩৭.৪৮০ কিলোমিটার কানা দ্বারকেশ্বর খাল সংস্কার করা হচ্ছে। দফতরের আরামবাগ ডিভিশনের আওতায় থাকা অংশের প্রায় আড়াই কিমি এবং কানা মুণ্ডেশ্বরীর ২ কিমি সংস্কার বাকি রয়েছে। সেই কাজও দু’এক দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বলে জানান সেচ দফতরের এক কর্তা।
মহকুমায় বন্যা মোকাবিলায় এই প্রকল্পের উপর অনেকটাই ভরসা করছে সেচ দফতর। প্রকল্পটি আসলে কানা মুণ্ডেশ্বরী, কাটা খাল, কানা দ্বারকেশ্বর, অরোরা খাল ও ভোমরা খালের আমূল সংস্কার। যাতে মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশির ব্যবস্থা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন নদীবাঁধ ভেঙে বা উপচে ঢুকে যাওয়া বন্যার জল দ্রুত নিকাশি হয়ে মহকুমার দক্ষিণ প্রান্তে রূপনারায়ণ নদে পড়বে।
সেচ দফতরের মতে, বন্যা রোধ সম্ভব না হলেও এই প্রকল্পে অন্তত জমা জল দ্রুত বেরিয়ে যাবে। ফলে, দিনের পর দিন গ্রাম এবং খেত জলমগ্ন থাকবে না। এটি আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্বের কাজ। এর মধ্যে থাকা অরোরা খালের ৪.৫০ কিমি কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। লকডাউনের আগে একেবারেই হাত পড়েনি ভোমরা খাল (৪.৫০ কিমি) সংস্কারের কাজে। বুধবার সেই কাজও শুরু হয়েছে।
সেচ দফতরের চাঁপাডাঙা ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার জানিয়েছেন, আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ের সমস্ত কাজটাই এক মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জরিপের কাজও শুরু হয়েছে।