‘হেরিটেজ’ তকমা পেল রামমোহনের পৈতৃক ভিটে। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয়দের দাবি ছিল অনেক দিনের। অবশেষে ২৫০ বছর জন্মবার্ষিকীতে পূরণ হল সেই দাবি। সরকারি ভাবে ‘হেরিটেজ’ তকমা পেল সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মভিটে। ২২ মে রবিবার তাঁর বসতভিটেতে বসল ‘হেরিটেজ’ ফলক।
১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলির খানাকুলের রাধানগরে জন্মগ্রহণ করেন রাজা রামমোহন রায়। রাধানগরে অবস্থিত তাঁর পৈতৃক ভিটেটি বহু দিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। বাড়িটি যাতে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, সে জন্য পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের একটি দল গত ১২ জানুয়ারি রামমোহনের জন্মভিটে এলাকাটি ঘুরে দেখে যায়। ওই এলাকা ছাড়াও আশপাশে রামমোহনের স্মৃতিবিজড়িত কয়েকটি এলাকাও ঘুরে দেখে ওই প্রতিনিধি দল।
অবশেষে রবিবার রামমোহনের ২৫০তম জন্মবার্ষিকীতে খানাকুল এসে নবজাগরণের পথিকৃতের জন্মভিটেকে হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দিল রাজ্য সরকার। লাগানো হল ফলক। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, সম্পাদক উমাপদ চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান, আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, মহকুমাশাসক হাসিনা জাহেরা রিজভি, এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল, জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ভারত পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায়ের জন্মভিটেকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। আগামিদিনে এই পবিত্র স্থানকে ঢেলে সাজানো হবে। পাশাপাশি, রাজা রামমোহন রায়কে নিয়ে অনেক কিছুই ভাবনা রয়েছে সরকারের। তার দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।’’
হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান বলেন, ‘‘নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায়ের জন্মভিটেকে হেরিটেজ তকমা দিল সরকার। ফলে সারা দেশে ঐতিহ্যের বিশেষ বার্তা পৌঁছবে।’’