উল্লাসে মেতেছেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা। — নিজস্ব চিত্র।
প্রায় সাড়ে চার দশক ধরে সিঙ্গুর বিধানসভার চণ্ডীতলা ২ নম্বর ব্লকের কাপাসাহাঁড়িয়া অঞ্চলের তৃষা কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পরিচালন সমিতি ছিল বামেদের দখলে। রবিবার গত ৪৪ বছরে এই প্রথম সেই সমিতি বামেদের হাতছাড়া হল। কৃষি উন্নয়ন সমবায় পরিচালন সমিতির সবগুলি আসনই দখল করেছে তৃণমূল।
রবিবার কাপাসহাঁড়িয়া অঞ্চলের তৃষা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। এই সমবায় সমিতির ন’টি আসনই দখল করেছে জোড়াফুল শিবির। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্নার প্রচেষ্টাতেই এই সাফল্য় মিলেছে। এই জয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বেচারাম।
তৃণমূলের সমবাদ সমিতি জয় নিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রবিবার রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম কর্মীরা। তাঁরা নির্বাচন বাতিল ঘোষণার দাবিও তুলেছেন। স্থানীয় সিপিএম নেতা অপূর্ব পাল অবিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূল এই সমবায় নির্বাচনে রাজি ছিল না। আমরা আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে আসি। তার পর আজ সমবায় নির্বাচন না করে তারা অনেকটা দূরে একটি প্রাথমিক স্কুলে যেখানে তৃণমূলের লোকজন বেশি সেখানে ভোট করে। সিপিএমের লোকেদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়।’’
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাপাসহাঁড়িয়ার তৃণমূল নেতা কৌশিক শীল। তাঁর দাবি, ‘‘কোনও সন্ত্রাস হয়নি। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। আসলে সিপিএমের কোনও লোকজন নেই। সেই কারণে তারা মিথ্যা অভিযোগ করে সাত কিলোমিটার দূরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’’