অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিদ্যুৎবরণ গায়েন। — নিজস্ব চিত্র।
তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত। রবিবার বোলপুরের কালিকাপুরের বাসিন্দা সেই বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতেই তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর থেকেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিদ্যুৎবরণকে নিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণ। অস্থায়ী কর্মী হিসাবে পুরসভায় চাকরি পেয়েছিলেন ২০০৮ সাল নাগাদ। সেই সময় তিনি গাড়ির খালাসি হিসাবে কাজ করতেন। এর পর ২০১২ সালে পুরসভার স্থায়ী কর্মী হন বিদ্যুৎবরণ। স্থায়ী কর্মী হওয়ার পর খালাসি থেকে পদোন্নতি হয়ে গাড়িচালক হন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, বোলপুরের মতো শহরে অন্তত চারটি বাড়ি রয়েছে পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণের। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তাঁর নামে রয়েছে বেশ কিছু জমিজমাও। রবিবার তাঁর কালিকাপুরের বাড়িতে দুপুর দেড়টা নাগাদ হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের ধারণা, অনুব্রতের সম্পত্তি বেনামে রয়েছে বিদ্যুৎবরণের কাছে। রবিবার সিবিআই যখন তল্লাশি অভিযান শুরু করে তখন অবশ্য নিজের বাড়িতে ছিলেন না বিদ্যুৎবরণ। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়, তিনি কলকাতা গিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহরক্ষী সহগল হোসেনের মতো অনুব্রতর অন্যতম ‘ছায়াসঙ্গী’ এই বিদ্যুৎবরণ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ভোলে বোম’ নামে বোলপুরে যে চালকলের হদিস মিলেছে তার ডিরেক্টর হিসাবে রয়েছে এই বিদ্যুৎবরণের নাম। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে যে সম্পত্তি রয়েছে তাতেও বিদ্যুৎবরণের নাম রয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। সিবিআইয়ের আরও দাবি, বিদ্যুৎবরণের নামে একটি গাড়ির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যা এক সময় অনুব্রত ব্যবহার করতেন।
সিবিআইয়ের আরও দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ বিদ্যুৎ। তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে এক সময় ৫৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অনুব্রত। সেই বিদ্যুৎকে নাগালের মধ্যে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।