রক্তদান করছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের রক্তদান শিবিরে গিয়ে রক্তদান করলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূলের আয়োজিত ওই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল। অভিনেত্রী-সাংসদ রচনা রক্তদান করে জানান, কলকাতা শহরে থেকে বুঝতে পারেন চিকিৎসার প্রয়োজনে রক্ত পাওয়া কতটা কঠিন। তাই সবাইকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি।
চন্দননগরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘রক্তদান শিবিরের যে আয়োজন করা হয়েছে, তা ভীষণ ভাল একটি প্রয়াস। কারণ, আমরা জানি কোনও মানুষ অসুস্থ হলে আজকের দিনে রক্ত পাওয়াটাই প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ রচনার সংযোজন, ‘‘আমার নিজের লোককে দিয়ে আমি বুঝতে পারি। সারারাত গাড়ি নিয়ে দৌড়লেও রক্ত পাওয়া যায় না। যতই ‘সোর্স’ থাকুক, যতই চেনা পরিচিত থাকুক না কেন, রক্ত পাওয়া যায় না। তাই বলব, রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা ভীষণ প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের জন্য ভীষণ দরকারি।’’
সাংসদ নির্বাচিত ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বলেছিলেন, তিনি এখন থেকে ‘হুগলি নম্বর ওয়ান’। আর ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ এক জনই— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রচনা বলেন, ‘‘চন্দননগরের জন্য কিছু করতে আমি সব সময় মুখিয়ে থাকব। এখন হুগলি আমার দ্বিতীয় ঘর। কলকাতা প্রথম। তাই যখনই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকবেন, তখনই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাবেন।’’
তৃণমূলের ওই অনুষ্ঠানে চন্দননগর শহরের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধিতও করা হয়েছে।