অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলের পোল দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশিক ইকবাল নামে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত প্রধান।
খানাকুলের চক ভেদুয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইয়াসিনের অভিযোগ, শনিবার তাঁর উপর দলবল নিয়ে চড়াও হন আশিক। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী আলেনুর খাতুন। আক্রান্ত হন তাঁ মা সাহিদা বেগম এবং ভাই শেখ মহম্মদ মহসিনও। রবিবার সকালেও আশিক সদলবলে তাঁদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত মহসিনের দাদু শেখ ইলিয়াসের অভিযোগ, ‘‘আশিকের অত্যাচার লাগাম ছাড়িয়েছে। যখন তখন টাকা চায়। ১০ হাজার, পাঁচ হাজার টাকা না দিলেই বাড়িতে চড়াও হয়। এত দিন চুপ করে থেকেছি। কিন্তু এ বার বিচার চাই।’’
আশিক এবং রাকিবুদ্দিন নামে তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও আশিকের দাবি, ‘‘যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেই নিজেই মায়ের হাত ভেঙে দিয়েছিল। সেই সময় আমি প্রতিবাদ করি। সেই সময় আমিই চিকিৎসা করাই। আমি লাথি মারিনি। আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’’ তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’’ হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’