নিজস্ব চিত্র
গোঘাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দলের ব্লক সভাপতি বনাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির লড়াই জমে উঠেছে। অভিযোগ, রবিবার গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পালের বাড়িতে তৃণমূলের জনা পনেরো কর্মী গিয়ে চড়াও হন। তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। মনোরঞ্জন পালের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে সরাতে চাইছেন গোঘাট ১ ব্লকের সভাপতি নারায়ান পাঁজা ও তাঁর দলবল।
মনোরঞ্জন বলেন, ‘‘গত চল্লিশ বছর রাজনীতি করছি। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। এত অপমান সহ্য হচ্ছে না। এক সময় সিপিএম তুলে নিয়ে গিয়ে গাল মন্দ করত, সেটা ছিল রাজনৈতিক লড়াই। কিন্তু এখন অবস্থা তার থেকেও খারাপ। দলের লোকের কাছেই হেনস্থা হতে হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গোঘাটে চার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। আমি এক টাকাও কমিশন নিইনি। কমিশন দল নিয়েছে। দলের কাজে লাগাচ্ছে। মানশ মজুমদারকে ২০১৬ সালে দায়িত্ব নিয়ে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জিতিয়েছি। এ বার ব্লক সভাপতি নারায়ণ তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ছিল। ওঁরা যাঁকে যা দায়িত্ব দিয়েছেন, সবাই তা পালন করেছেন। তার পরও পঞ্চায়েত প্রধানরা নিজেদের বুথেই হেরেছেন। কর্মাধ্যক্ষরা তাঁদের বুথে হেরেছেন। নারায়ণও তাঁর বুথে হেরেছেন। অঞ্চল সভাপতিরা তাঁদের বুথে হেরেছেন। তাহলে আমার উপর রাগ কেন? গোটা ঘটনা দলের জেলা সভাপতি ও রাজ্য নেতাদের জানিয়েছি।’’
এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই নারায়ণ পাঁজা বলেন, ‘‘উনি দল করেন কি না জানি না। তবে গরিব মানুষকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। তাই হয়তো তাঁরা গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। আর দল তো তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে। গরিব মানুষের পাট্টার জমি নিজের পরিবারের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন আর বলছেন আমি স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে। ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির। উনি মানশ মজুমদারকে প্রার্থী করার বিরোধিতা করেছিলেন। দলের প্রার্থীকে হারিয়ে আবার বড় বড় কথা বলছেন।’’ এই বিষয়ে হুগলি জেলার তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে যা করার করব।’’