TMC

বিজেপির জনসভার পরের দিন সভাস্থলে ‘শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ’ তৃণমূলের

সার্কাস মাঠে জনসভা হয়। জনসভায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী লকেট চট্টোপাধ্যায় অর্জুন সিংহ-সহ বিজেপির রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্ব। তার পর বৃহস্পতিবার ওই মাঠেই শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ করা হয় স্থানীয় মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৫৮
Share:

তৃণমূলের উদ্যোগে 'শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ' নিজস্ব চিত্র।

বিজেপির জনসভার পর সেই মাঠে যজ্ঞ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি মাঠ শুদ্ধিকরণের জন্য এই আয়োজন। হুগলির মানকুন্ডু সার্কাস মাঠের ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের দিকে আক্রমণ শাণিয়েছে।

Advertisement

বুধবার চন্দননগর তালডাঙা থেকে মানকুন্ডু সার্কাস মাঠ পর্যন্ত বিজেপি মিছিল করে। মিছিল শেষে সার্কাস মাঠে জনসভা হয়। জনসভায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী লকেট চট্টোপাধ্যায় অর্জুন সিংহ-সহ বিজেপির রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্ব। তার পর বৃহস্পতিবার ওই মাঠেই শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ করা হয় স্থানীয় মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে। মূলত তৃণমূলের মহিলা বাহিনীর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হলেও দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবও উপস্থিত ছিলেন। যদিও তিনি এই শুদ্ধিকরণ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।

বিজেপি নেতা দীপাঞ্জন গুহ এই ঘটনাকে ‘বিকৃত মস্তিষ্কের চিন্তা ভাবনা’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এখানকার বিধায়ক সংস্কৃতি জগতের মানুষ। সাধারণ মানুষ সংস্কৃতি প্রেমী। তাঁর এই ধরণের কাজ পছন্দ করবেন? আমরা কি অন্য জায়গা থেকে এসেছি? আমরাও এই দেশের বাসিন্দা। আমরা কি অচ্ছুত যে শুদ্ধিকরণ করা হচ্ছে?”

Advertisement

হুগলি জেলা বিজেপি সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুদ্ধিকরণ যদি করতেই হয় তবে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি শুদ্ধিকরণ করা হোক। কারণ ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী ওই বাড়িতে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেণ। তিনি কি ওই ঘর শুদ্ধিকরণ করেছিলেন?”

শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠানে শামিল সবিতা দাসের অভিযোগ, বুধবার মিটিং মিছিলের নামে চন্দননগরের পূণ্য মাটিকে কলঙ্কিত অপবিত্র করা হয়। প্রকাশ্য রাস্তায় ‘গোলি মারো’ বলে চিৎকার করে চন্দননগরের মানুষকে অপমান করেছেন। এরই পরে স্থানীয় মহিলারা সার্কাস ময়দানের পবিত্রতা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement