প্রতারকের কাছে মোমো খাওয়ার আবদার তরুণীর। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল তরুণীর। অচেনা নম্বর। ট্রু কলারেও নাম দেখাচ্ছিল না। ফোনটা ধরতেই ও পাশ থেকে পুরুষ কণ্ঠ শুনতে পান তরুণী। বাজখাঁই গলায় তাঁকে বলেন, ‘‘আপনার ফোন নম্বর ব্যবহার করে অশ্লীল কাজ করা হচ্ছে। আপনাকে থানায় আসতে হবে। না হলে বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করতে বাধ্য হব।’’
খুব শান্ত মনে কথাগুলি শোনেন লখনউয়ের ওই তরুণী। তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন যে, প্রতারকরা তাঁর জন্য ফাঁদ তৈরি করছেন। ফলে একটুও বিচলিত না হয়ে, খুব শান্ত স্বরেই তরুণী ওই ব্যক্তিকে পাল্টা বলেন, ‘‘আপনি যদি আমার বাড়িতে আসেন, তা হলে অবশ্যই মোমো কিনে নিয়ে আসবেন। পথেই একটি মোমোর দোকান পড়ে। আমি কিন্তু মোমো খেতে বেশ ভালবাসি।’’ আরও বলেন, ‘‘অবশ্যই মেয়োনিজ় নিয়ে আসবেন।’’
তরুণীর এমন আজব উত্তর থতমত খেয়ে যান ঠগবাজ। তরুণীর মোমো খাওয়ার আবদার শুনেই দ্রুত ফোন কেটে দেন। কখনও পুলিশ পরিচয়ে, কখনও সিবিআই, কখনও আবার আয়কর দফতরের পরিচয়ে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করা হচ্ছে। আর সেই ফাঁদে পড়ে কেউ হাজার, কেউ লাখ টাকা খোয়াচ্ছেন। দেশ জুড়ে এ রকম ঘটনায় অনেকেই সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পড়লেও, অনেকে আবার তাঁদের কৌশল ধরে ফেলছেন। লখনউয়ের এই তরুণীও সেই কৌশল ধরে ফেলতেই রণে ভঙ্গ দেন সাইবার অপরাধী।