Santragachi Jheel

Santragachi Jheel: আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও নোংরায় ভরা সাঁতরাগাছি ঝিল

সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়ে কয়েক বছর আগে হাই কোর্টের গ্রিন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন সুভাষবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ০৬:০৯
Share:

ফাইল চিত্র।

সাঁতরাগাছি ঝিল নিয়ে চলা মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের গ্রিন বেঞ্চে অন্তিম শুনানি হবে খুব শীঘ্রই। তাই শেষ মুহূর্তে ওই ঝিলের দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে গিয়ে জলের নমুনা সংগ্রহ করলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর অভিযোগ, ওই ঝিল কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। জল নোংরা হয়ে রয়েছে। রেল, কেএমডিএ এবং হাওড়া পুরসভাকে বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। শেষ শুনানিতে তিনি আদালতে এই তথ্যই তুলে ধরবেন।

Advertisement

সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়ে কয়েক বছর আগে হাই কোর্টের গ্রিন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন সুভাষবাবু। সেই মামলায় হাই কোর্ট প্রশাসনকে ঝিল পরিষ্কার রাখতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সাঁতরাগাছি ঝিলে গিয়ে দেখা যায়, জলের বেশির ভাগ অংশই কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। জলের রং-ও কালো হয়ে গিয়েছে। চর্তুদিকে পড়ে রয়েছে আর্বজনা।

সুভাষবাবুর অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রশাসন ওই ঝিল পরিষ্কার করেনি। এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার বক্তব্য, ঝিল পুরসভার নয়, রেলের। তাই রেলকেই রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সাঁতরাগাছি ঝিল পরিষ্কার রাখার জন্য যা যা করণীয়, পুরসভার তরফে একটি সংস্থার মাধ্যমে তা করাও হয়েছে।’’ রেল এবং কেএমডিএ-রও দাবি, সাঁতরাগাছি ঝিলের রক্ষণাবেক্ষণে যা যা প্রয়োজন, সবই করা হয়েছে।

Advertisement

সুভাষবাবু বলেন, ‘‘আগামী ৪ জুলাই সাঁতরাগাছি ঝিল নিয়ে হাই কোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে এ দিন ঝিলের কী পরিস্থিতি, তা দেখতে যাই।’’ তিনি জানান, জলের সংগৃহীত নমুনা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে পাঠানো হবে। স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই ঝিলে দূষণের অভিযোগ করেছেন। সুভাষবাবুর দাবি, আবর্জনার স্তূপ ও দূষণের কারণেই সাঁতরাগাছি ঝিলে পরিযায়ী পাখি কমে গিয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement