চন্দননগর হাসপাতালের এখানেই বিশ্রাম নেন রোগীর আত্মীয়রা। — নিজস্ব চিত্র।
খাবার এবং নরম পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে রোগীর আত্মীয়দের জামাকাপড়, নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন লুট করার অভিযোগ উঠল হুগলির চন্দননগর হাসপাতালে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন হুগলির বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা। রবিবার রাতে চন্দননগর হাসপাতালের নতুন একটি ভবনের সামনে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বেশ কয়েক জন। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে ভাব জমান অপরিচিত এক ব্যক্তি। তিনি সকলকে নরম পানীয় এবং খাবার খাওয়ান রাতে। সকালে উঠে সকলে দেখতে পান কারও শরীরে জামাকাপড় পর্যন্ত নেই। চুরি করা হয়েছে মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাও। এ নিয়ে চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর আত্মীয়রা।
এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দননগর থানার পুলিশ। প্রতারকের কবলে পড়া এক যুবক বলেন, ‘‘রাত হয়ে যাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে এক জন বলে, ‘‘দাদা একটু কোল্ড ড্রিঙ্ক খান।’ তা একটু খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়ি আমি। তার পর আর কিছু মনে নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি জামা-প্যান্ট নেই আমার। নগদ ১৯ হাজার টাকাও লোপাট।’’