৩ অগস্ট পর্যন্ত ইডির হেফাজতে থাকবেন অর্পিতা।
৩ অগস্ট পর্যন্ত ইডির হেফাজতে থাকবেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সোমবার রাতে নির্দেশ দিল ইডির বিশেষ আদালত। রায়ে এ-ও বলল, প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জিও খারিজ।
রবিবার ইএসআই হাসপাতাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ইডির কনভয়। অর্পিতা যে গাড়িতে বসেছিলেন, তার চালক আচমকা ব্রেক কষেন। চোট পান অর্পিতা। তাঁর আইনজীবী এ দিন আদালতে অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পর ছ’ ঘণ্টা চিকিৎসা করানো হয়নি অর্পিতার। ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফিলিত যাতে না হয়, তা দেখার আবেদন করেছেন তিনি।
অর্পিতার আইনজীবী নিলাদ্রি ভট্টাচার্য জানালেন, ‘‘সোমবার তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন পেশ করা হয়নি। হেফাজতের মেয়াদ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলেছে। ইডি ১৩ দিনের হেফাজত চেয়েছে। তার বিরুদ্ধে সওয়াল করা হয়েছে।’’
পার্থ চ্যাটার্জির জামিনের আবেদন পেশ করা হল আদালতে। এ দিকে অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে চাইল ইডি। তাদের হেফাজতেই হোক স্বাস্থ্যপরীক্ষা, সেই আবেদনও করল।
শুনানির সময় এজলাসে হাজির করানো হল ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডির আইনজীবীর যুক্তি, ‘‘অর্পিতার বাড়িতে টাকা গুনতেই দু’দিন কেটে গিয়েছে। দু’দিন এজলাসে কাটল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোথায় পাওয়া গেল?’’ এই যুক্তি দেখিয়ে অর্পিতাকে ১৩ দিনের জন্য হেফাজতে চাইল ইডি।
পার্থর কারণেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে যাতায়াত করে বিপুল খরচ হয়েছে, ইডির আইনজীবীর এই অভিযোগ মানতে চাননি পার্থের আইনজীবী দেবাশিস রায়। বলেন, ‘‘ইডির অতিরিক্ত তাড়া ছিল। তাই খরচ হয়েছে। এটা পার্থর দোষ নয়। এসএসকেএমের একটি রিপোর্টও শুনানিতে পেশ করা উচিত।’’ তিনি এ-ও দাবি করেন, যে সোমবারই পার্থর শারীরিক পরীক্ষার রিপোরট পেশ করার কথা ছিল এসএসকেমের। তারাও হয়তো একই রিপোর্ট দিত। কিন্তু তার আগেই তড়িঘড়ি পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়।
পার্থর আইনজীবীর যুক্তির বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন ইডির আইনজীবী। সোমবার ইডির হয়ে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এম রাজু। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে হাজির ছিলেন তিনি। বলেছেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি থাকলে তাকে পুলিশি বা বিচারবিভাগীয় হেফাজত বলা চলে না। আমরা ইতিমধ্যে দু’দিন হারিয়েছি। তাই পার্থকে আরও ১৪ দিনের হেফাজতে চাইছি আমরা। অর্পিতাকে ১২ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চাইছি।’’
আদালতে ইডির আবেদন, পার্থকে ১৪ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। পার্থর আইনজীবী দেবাশিস রায় এই আবেদনের বিরুদ্ধে যুক্তি দেন, ‘‘২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পার্থর বাড়িতে ছিল ইডি। তার পর গ্রেফতার করা হয়। ইডির হেফাজত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হিসাব করলে দেখা যাবে, ইতিমধ্যে পার্থ তিন দিন ইডির হেফাজতে রয়েছে।’’
পার্থকে কেন গ্রেফতার করা হল, প্রশ্ন তুললেন তাঁর আইনজীবী। শুনানিতে বললেন, ‘‘হাই কোর্ট মামলাটির ওপর নজর রাখছে। তারা গ্রেফতারের কথা বলেনি। ইডি তদন্ত করছিল। পার্থ বাবুকে সমন পাঠানো হয়েছিল। তিনি গিয়েছিলেন। বিনা নোটিসে ইডি ২৪ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তার পরেও গ্রেফতার কেন করা হল?’’
ইডির বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী স্বীকার বললেন, ‘‘অর্পিতা আমার পরিচিত। আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমার জুনিয়রের বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গেলে, আমার সঙ্গে যোগ কোথায়?’’
রবিবার আদালত থেকে ফেরার সময় ইডির কনভয়ে অন্য একটি গাড়ি চলে আসে। ইডির আইনজীবী সোমবার আদালতে অভিযোগ করলেন, অর্পিতার কারণেই কালো একটি গাড়ি ইডির কনভয়ে ঢুকে পড়ে, উদ্দেশ্য ছিল ইডি আধিকারিকদের হামলা।
ভুবনেশ্বর এমসের দেওয়া রিপোর্ট আদালতে পেশ করলেন ইডির আইনজীবী। বললেন, ‘‘পার্থ সুস্থ রয়েছেন। তিনি শুধু যে অসুস্থ হওয়ার ভান করেছেন, তা নয়, এক জন রোগীকেও বঞ্চিত করেছেন। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের যাতায়াত করে টাকাও নষ্ট করেছেন।’’ চিকিৎসকদের দোষী সাব্যস্ত করা হোক বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে বলে আদালতে দাবি করল ইডি।
ইডির বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অর্পিতাকে। আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইডির বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হল অর্পিতাকে। কিছুক্ষণ পরেই শুনানি শুরু হবে।
জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা পর আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অর্পিতাকে। খুব ধীর গতিতে চালানো হচ্ছে অর্পিতার গাড়ি।
জোকার ইএসআই হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর বার করা হল অর্পিতাকে। এর পর তাঁকে আদালতে তোলা হবে।