মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বঙ্গ-সম্মান প্রদানের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কেন ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। বললেন, ‘‘আমার লজ্জা লাগছে, বাংলায় এত ভাল ভাল হাসপাতাল থাকতেও পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হল!’’ এমস হাসপাতাল কেন্দ্রের অধীনে থাকার জন্যই কি পার্থকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হল, সেই প্রশ্নও তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ১৪ জুলাই ‘বঙ্গবিভূষণ’ ও ‘বঙ্গভূষণ’ প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। তাঁদের সম্মাননা প্রদানের জন্য সোমবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘‘ভোগ করার জন্য আমি রাজনীতি করি না। আমি মনে করি, ত্যাগ করার রাজনীতি করা উচিত। ভোগ করার জন্য সারাজীবন রাজনীতি করিনি। আমার ধারণা ছিল, রাজনীতি মানে ত্যাগ। কিন্তু বলুন তো, সবাই কি এক? পার্থক্য তো থাকবেই। অন্যায়কে সাপোর্ট আমি করি না। দুর্নীতিকে সাপোর্ট করা আমার জীবনের নেশাও নয়, পেশাও নয়।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জেনেশুনে আমি কোনও দিন কাউকে অন্যায় করতে দিইনি। ভুল করার অধিকার আমার রয়েছে। অজ্ঞানে করলে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু জ্ঞানত করা অপরাধ। আমি চাই, সত্য সামনে আসুক। সত্য প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিন। আমার কোনও আপত্তি নেই। আমার ছবির সঙ্গে টাকার পাহাড়ের ছবি দিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে বিরোধীরা। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আচরণে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি পুজোয় যাই। অর্গানাইজাররা যদি কাউকে স্টেজে আগে থেকে ডেকে রাখে, তাতে আমি কী করতে পারি। তার মানে আমি পুজো প্যান্ডেলে যাব না? যদি কেউ চোর হয়, ডাকাত হয়, তৃণমূল রেয়াত করবে না। কিন্তু অযথা আমার গায়ে কালি ছেটানো হলে আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমার হাতেও আলকাতরা রয়েছে।’’
মমতা বলেন, ‘‘হুমকির কাছে মাথা নত করব না। আর যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তার দায়িত্ব সে নিজে নেবে। সরকার এর সঙ্গে যুক্ত নয়। ওই মহিলা দলের কেউ নন। কিছু মিডিয়া নিজের মতো দেখিয়ে যাচ্ছে। পার্থকে কেন ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হল? আমার লজ্জা লাগছে, বাংলায় এত ভাল ভাল হাসপাতাল থাকতেও পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হল! কেন ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হল? কেন্দ্রের ছোঁয়া আছে বলে?’’