মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মমতা বললেন, ‘‘ওরা বলছে দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ দাও। বার বার বলেছি, বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র— চার রাজ্যের দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করে দেখাও কোথায় কত দুর্নীতি হয়েছে, কত মহা দুর্নীতি হয়েছে। বাংলায় দুর্নীতি হয়নি। লোকালি কয়েক জন বদমায়েশি করেছিল, আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি।’’
মমতা বললেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। আর অন্য কেউ পারবে না।’’
প্রচারে মমতা বালুরঘাটের জনতাকে বললেন, ‘‘কী, খেলা হবে? না কি ভুলেই গেছেন! আপনারা যদি চান সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থাকুক তবে ভোটটা তৃণমূলেই আসবে। আর কোথাও নয়।’’
বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ মমতার। বললেন, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি হল জগাই-মাধাই-গদাই। ওদের একটা ভোটও দেবেন না। সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। ওরা পঞ্চায়েতে একসঙ্গে কাজ করে। বিধানসভায় একসঙ্গে কাজ করে। বাংলায় একসঙ্গে কাজ করে। কেরলে কংগ্রেস- সিপিএমে লড়াই। আর বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএম ভাই ভাই। কী দোস্তি! কোথাও দোস্তি, কোথাও মস্তি। আমরা এ সব করি না।’’
মমতা বললেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে চলে গেল। কী কাজ করেছে ওরা? টাকা বন্ধ করেছে। আর বিনা পয়সায় রেশন আমরা দিয়েছি। স্বাস্থ্যসাথী আমরা দিয়েছি। কন্যাশ্রী আমরা দিয়েছি। রূপশ্রী আমরা দিই। লক্ষ্মীর ভান্ডার আমরা দিই। চা-বাগানের পাট্টা আমরা দিই। তফসিলি ভাতা আমরা দিই। কাজ আমরা করেছি আর ভোটটা নিয়ে চলে গেল সু বাবু।’’
মমতা বললেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর এত বড় সাহস! বলছে বেছে বেছে সবাইকে জেলে ভরবে! আরে বেছে বেছে জনতা তোমাকে ভোট দেবে না। হিম্মত থাকলে কাজ করে ভোট নাও। সাফল্য দেখিয়ে ভোট নাও। ১০ বছরে কী কাজ করেছ, তার রেকর্ড দেখাও।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও নাম না করে মমতা বললেন, ‘‘ওরা বলছে, জনতাকে উল্টো ঝুলিয়ে সিধে করে দেবে? আরে, জনতা তোমাদের সরকারটাই উল্টে দেবে।’’
মমতা বললেন, ‘‘বালুরঘাটের নাম বলতে পারে না। বলে ‘বেলুরঘাট’। এখানে যে সাংসদ ছিলেন, তাঁর নামটাও ঠিক করে বলতে পারেনি। আর একজন আসে ‘ভোট পাখি’। বছর বছর দেখা নেই। তোমার দেখা নাই।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ মমতার।