মারপিটের অভিযোগে গ্রেফতার ৪। প্রতীকী চিত্র।
বিজেপি নেতার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারার অভিযোগে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় এক তৃণমূল কর্মী এবং তাঁর পরিবারের আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবারই ধৃতদের হাজির করানো হয়েছে চুঁচুড়া আদালতে। চার জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতারা। যদিও, তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটা ‘পাড়ার ঘটনা’।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বুথ সভাপতি জগন্নাথ দাসের বাড়ির সামনে একটি সরকারি কল আছে। সেই কল নিয়ে তাঁর প্রতিবেশী তথা তৃণমূল কর্মী রাখাল দাসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিবাদ। শনিবার বিকেলে অশান্তির সূত্রপাত। জগন্নাথের অভিযোগ, অশান্তির জেরে তাঁকে মারধর করেন রাখাল, তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে। এমনকি তাঁর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনায় পুলিশ রাখাল, তাঁর স্ত্রী অনিতা, তাঁদের দুই ছেলে শুভ এবং দীপকে প্রথমে আটক করে। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি জগন্নাথের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে দেখতে যান বাঁশবেড়িয়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর। কিন্তু, তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। এ নিয়ে বিজেপির হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বাকে পেটে লাথি মেরেছে তৃণমূল কর্মী। আর কাউন্সিলর বলছেন, মারামারি হয়নি। সেই কারণেই বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’
মিনতির কথায়, ‘‘এই মারপিট একদমই পাড়ার ঘটনা। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। বিষয়টি শুনে আমি আক্রান্তদের বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ অন্তঃসত্ত্বাকেও হাসপাতালে দেখতে যাই।’’
মিনতির সুর তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইয়ের গলাতেও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই খারাপ। পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা প্রতিবেশীদের বিবাদ। এর মধ্যে রাজনীতি আনতে চাইছে বিজেপি। কাউন্সিলর তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসাবে মহিলাকে দেখতে গিয়েছেন, এতে অন্যায় নেই।’’