ডিওয়াইএফআই ক৪মী-সমর্থকদের আন্দোলন। — নিজস্ব চিত্র।
বাম যুব সংগঠন (ডিওয়াইএফআই)-এর জেলা পরিষদ অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির চুঁচুড়া। ডিওয়াইএফআই কর্মীদের সঙ্গে বেধে যায় পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ। ওই অভিযানে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের। তাতে জখম হয়েছেন কয়েক জন। পুলিশকে মার এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগও উঠেছে বাম যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার হুগলি জেলা পরিষদ অভিযান ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, টুম্পা মেটেকে বরখাস্ত করা, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানো, ১০০ দিনের কাজ চালু, অবৈধ ভাবে গাছ কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, অবৈধ ভাবে জলাশয় ভরাট বন্ধ, শূন্য পদে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করা ইত্যাদি নানা দাবি সামনে রেখে শুরু হয় কর্মসূচি। বিকেল ৩টে নাগাদ ঘড়ির মোড়ে জমায়েত এবং পথসভার পর শুরু হয় মিছিল। কিন্তু পুলিশের তৈরি করা ব্যারিকেডে আটকে যায় মিছিল। এর পর ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বাম যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময় তাঁরা পুলিশ কর্মীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ডিওয়াইএফআই নেতাদের। সুমন গঙ্গোপাধ্যায় নামে সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘‘হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করেছে। তাঁকে বরখাস্ত করার দাবিতে আজ আমরা স্মারকলিপি দেব বলে আগেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুরুষ এবং মহিলা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।’’
হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ করেননি। ওই প্রকল্প বন্ধ করেছে মোদী সরকার। এ নিয়ে বলতে হলে মোদী সরকারকে বলতে হবে। আমরাও চাই ওই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ুক।’’ শান্তনু এবং টুম্পার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মেহবুবের দাবি, দল কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। আইন আইনের পথে চলবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।