নবান্ন অভিযানের এই ছবিই পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন থানায়। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছি-সহ কয়েকটি এলাকা। ওই কাণ্ডে ধড়পাকড় এখনই থামাচ্ছে না পুলিশ। বরং এ বার নয়া পদক্ষেপ করল হাওড়া সিটি পুলিশ। ধৃতদের চিহ্নিত করে জালে পুরতে বিভিন্ন থানায় পাঠানো হচ্ছে ছবি।
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সাঁতরাগাছিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে দেখা গিয়েছে বিজেপি সমর্থকদের। তার আঘাতে জখম হন কয়েক জন পুলিশ কর্মী। আবার ব্যারিকেডের সামনে বাঁশ নিয়ে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে অনেককে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া সেই সব ছবির সূত্র ধরে এ বার খোঁজ চলছে ‘হামলাকারী’দের। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার পর্ব চলছে। এ জন্য রাজ্যের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হচ্ছে অভিযুক্তদের ছবি। কারণ, মঙ্গলবার হাওড়া ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযানে যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যাতে সহজে তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা যায়।
নবান্ন অভিযানে ভাঙচুর, জগাছা থানার ওসিকে ইট ছোড়া-সহ নানা অভিযোগে ইতিমধ্যেই ১৮ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে জগাছা থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দান, সরকারি কর্মীকে আঘাত, স্বেচ্ছায় আঘাত করা, সশস্ত্র অবস্থায় দাঙ্গা করা-সহ নানা ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে শর্তসাপেক্ষে। বাকি চার জনকে দু’দিন পুলিশ হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মঙ্গলবার সাঁতরাগাছিতে বিজেপি সমর্থকদের ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন জগাছা থানার ওসি সতীনাথ চট্টরাজ-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই কাণ্ডেও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।