Mamata Banerjee

ভারতে বাড়ছে বেকারত্ব, বাংলায় কর্মসংস্থান, টাটার আধিকারিকদের মঞ্চে বসিয়ে দাবি করলেন মমতা

দেশে বেকারত্ব ৪৫ শতাংশ বাড়লেও বাংলার কর্মসংস্থানের সুযোগ ৪০ শতাংশ বেড়েছে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে কর্মসংস্থানে বাংলা হবে ভারতের এক নম্বর রাজ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৪৫
Share:

খড়্গপুরের কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

শিল্প এবং কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধী শিবিরের নিরন্তর অভিযোগের জবাব দিতে এ বার ‘টাটাগোষ্ঠীর মঞ্চ’কে বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, অতিমারি-পরবর্তী পর্যায়ে সারা দেশে বেকারত্ব ৪৫ শতাংশ বাড়লেও বাংলার কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে এক সরকারি কর্মসূচিতে এ কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে কর্মসংস্থানে বাংলাকে এক নম্বরে নিয়ে যাব! এটা আমার চ্যালেঞ্জ।’’

Advertisement

খড়্গপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই কর্মসূচি থেকে টাটা স্টিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পলের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেন খড়্গপুরের অদূরে টাটা মেটালিক্সের নয়া ইউনিটের। পাশাপাশি, ওই কর্মসূচিতে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। মমতা বলেন, ‘‘এখন টাটা মেটালিক্স আরও ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে।’’ টাটা মেটালিক্সের ওই নতুন ইউনিটে আরও হাজার জনের চাকরির সুযোগ হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বক্তৃতার সময় মঞ্চে হাজির ছিলেন সঞ্জীব-সহ টাটা শিল্পগোষ্ঠীর আধিকারিকেরা।

পুজোর আগে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোট ৩০ হাজার জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির কর্মসূচিতে আমি থাকব। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহের ছেলেমেয়েদের অনলাইনে দেওয়া হবে।’’ বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার একগুচ্ছ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনাও (১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ছ’টি প্রকল্পের শিলান্যাস) করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী দিনে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে পর্যটনের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেবে রাজ্য সরকার। তাতেও বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। তাঁর সরকারের আমলে ৮৯ হাজার স্কুল শিক্ষক, ১০ কলেজ শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র লেদার ইন্ডাস্ট্রি (চর্মশিল্প)-তেই আড়াই লক্ষ মানুষ কাজ পেয়েছেন। আমরা চুপচাপ কাজ করি। তাই কেউ জানতে পারেন না।’’

Advertisement

বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লাখনি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এক লক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানাও করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ কারণেই বিজেপি, সিপিএম বাধা দিচ্ছে। কয়লাখনি হলে তো লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে! রাজনীতি করবে কী করে? আমি বলি, কর্মসংস্থান নিয়ে রাজনীতি করতে হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায় এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও। জাতীয় গ্যাস গ্রিড পাইপলাইন, তাজপুরে সমুদ্রবন্দর, বালুরঘাট-কোচবিহার-মালদহ বিমানবন্দর, এমনকি, বিভিন্ন জেলায় ২৬টি হেলিপ্যাডের নির্মাণের কথাও বলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘অন্ডাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করব আমরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement