লোহা ব্যবসায়ীর দফতরে ডাকাতির অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
ডাকাতির গল্প ফেঁদে ব্যবসায়ীর দফতর থেকে এক কর্মচারী লুট করেছিলেন ৪০ লক্ষ টাকা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশি জেরায় ধরা পড়ে গেল ডাকাতির নাটক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা হাওড়ার বেলুড় থানার অন্তর্গত ৭৭ নম্বর গিরিশ ঘোষ রোড এলাকার। অভিযুক্ত কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে টাকাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সঞ্জয় ভূমনা নামে এক লোহা ব্যবসায়ী বেলুড় থানায় অভিযোগ করেন, দুষ্কৃতীরা তাঁর দফতর থেকে লুট করেছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। তিনি পুলিশে জানান, বেলা ১২টা নাগাদ বেলুড়ের ৭৭ নম্বর গিরিশ ঘোষ রোডের মহাবীর ট্রেডার্স নামে তাঁর যে দফতর রয়েছে সেখানে দুষ্কৃতীরা হানা দিয়ে ওই টাকা লুট করে। বেলুড়ের বজরঙ্গবলী এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ছাঁট লোহার ব্যবসা করেন সঞ্জয়। তাঁর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করে বেলুড় থানা এবং হাওড়া সিটি পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা। তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই লোহা ব্যবসায়ীকে। ঘটনার সময় ওই দফতরে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ডিসিপি নর্থ অনুপম সিংহের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ দল যায় ঘটনাস্থলে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যায় ডাকাতির নাটক। অনুপম জানিয়েছেন, তাঁরা সিসি ক্যামেরার ছবি খতিয়ে দেখেন। এর পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কর্মচারীদের। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কর্মচারীদের মধ্যে এক জনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এর পর তিনি পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নেন ডাকাতির গল্প ফাঁদা হয়েছিল। ওই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই কাণ্ডে আর কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।