মৃত ছাত্র অর্জুনের বাড়িতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হাতির হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ছাত্র অর্জুন দাস। সেই ঘটনায় সমবেদনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়িতে যখন এই ঘটনাটি ঘটেছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উত্তরবঙ্গেই। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করা যায় সে ব্যবস্থা করতে। মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।’’ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটার পরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটি কী ভাবে ঘটেছে, তা জানতে চান। পাশাপাশি, হাতির হানা রুখতে বন দফতরকে আরও সক্রিয় হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের বেলাকোবা রেঞ্জের মহারাজ ঘাট এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বাবার সঙ্গে বেরিয়েছিল অর্জুন নামে এক পরীক্ষার্থী। সেই সময় হামলা চালায় একটি দলছুট হাতি। হামলায় গুরুতর জখম হয় অর্জুন। তাকে নিয়ে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু হাসপাতাল যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় অর্জুনের। মৃত ছাত্র অর্জুনের বাড়িতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার পরীক্ষায় যাতে কোনও রকম গোলমাল না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’’ অন্য দিকে, পাহাড়ে বন্ধ ডাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বিমান ধরার আগে মমতা বলেন, ‘‘আমি বাংলা থেকে বন্ধ রাজনীতি তুলে দিয়েছি। গত ১১ বছর হল বাংলা থেকে এই রাজনীতি উঠে গিয়েছে। আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, কেউ বন্ধ করার চেষ্টা করলে তা যেন শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হয়।’’ উল্লেখ্য, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়। সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা বৃহস্পতিবার বনধ ডেকেছিলেন বিনয় তামাং ও অজয় ওডোয়ার্ড। সেই বন্ধ নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে কড়া মেজাজে বন্ধ রাজনীতির সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।