ICDS Recruitment Case

কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনেই নিয়োগ! অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পদোন্নতি মামলায় রাজ্যকে বলল হাই কোর্ট

শুক্রবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজ়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার মানছে না কেন্দ্রের নির্দেশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনেই অঙ্গনওয়াড়ি (আইসিডিএস) সুপারভাইজ়ার নিয়োগ করতে হবে রাজ্যকে। শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখেই জানাল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে জট কাটল অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজ়ার নিয়োগের।

Advertisement

শুক্রবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী আশিস চৌধুরী জানান, অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজ়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার মানছে না কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ। তার পরই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগে কেন্দ্রের নির্দেশিকা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর দাবি, ২০১৫ সালের কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা আছে, সুপারভাইজ়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদের ৫০ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের থেকে নিতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ বাইরে থেকে নিয়োগ করতে পারবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ না মেনে ৭৫ শতাংশই বাইরে থেকে নিয়োগ করেছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ নিয়ে আগেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন, ৫০ শতাংশ শূন্যপদে পদোন্নতির ভিত্তিতেই অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের মধ্যে থেকেই নিতে হবে। অভিযোগ, সেই নির্দেশ মানেনি রাজ্য সরকার। মামলাকারীদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পদোন্নতির ভিত্তিতে সুপারভাইজ়ার পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার পর রাজ্য সরকার ১১৫২ জনের একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু পরে তাঁদের প্যানেল প্রকাশ না করেই সরাসরি নিয়োগপ্রক্রিয়া চালু রাখে রাজ্য সরকার।

Advertisement

মামলাকারীরা প্রথমে বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে তা বিচারপতি চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে পৌঁছয়। শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে মামলাকারীরা অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজ়ার পদে পদোন্নতির ব্যাপারে আশাবাদী। আইনজীবীদের একাংশের মতে, হাই কোর্টের নির্দেশে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পদন্নোতির বিষয়ের জট কাটল ঠিকই। তবে রাজ্য সরকার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে, নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement