আইএসএফ নেতাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
জনজীবন সচল হলেও রিষড়ায় পুলিশ পিকেট এবং টহলদারি রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রিষড়ায় গোলমালের জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েক জন আইএসএফ নেতা। তাঁরা কোন্নগর স্টেশনে জড়ো হন। প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতেই বিশাল পুলিশবাহিনী তাঁদের আটকায়। ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকায় পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি। কোন্নগর স্টেশন চত্বরেই পুলিশ আধিকারিকদের স্মারকলিপি দেন তাঁরা। তাতে রিষড়ার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করা হয়।
আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ফুরফুরায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহের জায়গা পুলিশ বন্ধ করে দিলে এবং সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে, অস্ত্র আসতে পারবে না। এ রাজ্যে অতিরিক্ত রাজনীতিকরণের জন্য পুলিশকে ভোঁতা করে দেওয়া হচ্ছে। আশা করব, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন অফিসাররা বাহিনীর সুনাম, স্বতন্ত্রতা ফিরিয়ে আনবেন।’’
এ দিন রিষড়ার লক্ষ্মীপল্লিতে চায়ের দোকানে গান গেয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন এলাকার কয়েক জন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা সাবির আলি বলেন, ‘‘আমি স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি, পাশের হরিসভার সহ-সভাপতি। আমরা মিলেমিশেই থাকি। এই সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। মানুষ তা বুঝতে পারছেন।’’ প্রাক্তন অ্যাথলিট বিমান সরকার বলেন, ‘‘আমাদের ঐক্য ভাঙার দূরভিসন্ধি আমরা রুখব।’’
কাল, রবিবার সম্প্রীতি মিছিল করবে বামপন্থী বিভিন্ন দল। হুগলি জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দেবব্রত ঘোষ জানান, রিষড়ার বাগখালের পরে (যে এলাকায় ১৪৪ ধারা শেষ হচ্ছে) থেকে মিছিল শুরু হবে। জিটি রোড ধরে কোন্নগর হয়ে মিছিল শেষ হবে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমার সামনে। সেখানে সমাবেশ হবে। বামফ্রন্টের নেতা বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সভাপতি মহম্মদ সেলিম প্রমুখের উপস্থিত থাকার কথা।