শনিবারও , হাওড়ার মঙ্গলহাটে আগুন নেভানোর কাজ করেন দমকলকর্মীরা। — ফাইল চিত্র।
হাওড়ার মঙ্গলাহাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ। দমকল কর্তৃপক্ষের রিপোর্টের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে ওই এফআইআর। শুরু হয়েছে হাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দমকলের সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলাহাটে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ অর্থাৎ জামাকাপড় এবং অন্যান্য সামগ্রী মজুত করা ছিল। আরও বলা হয়েছে, ওই সব সামগ্রী থাকলেও আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত কোনও ব্যবস্থা ছিল না সেখানে। দমকল আরও জানিয়েছে, অগ্নি নির্বাপণের কোনও নিয়ম না মেনেই চলছিল হাট। দমকল হাটমালিক বা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথাই মূলত উল্লেখ করা হয়েছে দমকলের রিপোর্টে। তার ভিত্তিতেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে সেগুলিও ওই মামলার সঙ্গে যোগ করা হবে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। শুক্রবার রাতভর ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন গোয়ান্দারা। ফরেন্সিক রিপোর্টও পুলিশের হাতে এসেছে। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও যান মঙ্গলাহাটে।