বাসুদেব চক্রবর্তী (বাঁ দিকে) এবং বিক্রম ঠাকুর। — নিজস্ব চিত্র।
ব্যাগবোঝাই বুলেট বিক্রি করতে এসে গ্রেফতার দুই বিজেপি নেতা। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার প্রতাপনগর এলাকায়। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। বিজেপি নেতাদের অবশ্য দাবি, ওই দু’জনকে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বাসুদেব চক্রবর্তী এবং বিক্রম ঠাকুর। তাঁরা অশোকনগরের সেনডাঙার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে একটি বাইকে চড়ে গোবরডাঙা থানার প্রতাপনগর এলাকায় যান দুই বিজেপি নেতা বাসুদেব এবং বিক্রম। তাঁদের কাছে বুলেট রয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে অভিযান চালায় মছলন্দপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ ওই দু’জনকে আটক করে। এর পর তল্লাশিতে অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪০ রাউন্ড বুলেট। সেগুলি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের। ধৃত দুই বিজেপি নেতাই দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন পঞ্চায়েত ভোটে। এঁদের মধ্যে বাসুদেব ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী এবং বিক্রম ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী। যদিও ভোটযুদ্ধে তাঁরা দু’জনেই পরাজিত হয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া বুলেট। — নিজস্ব চিত্র।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এত পরিমাণ বুলেট তাঁরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’জনকে ৪০ রাউন্ড গুলি-সহ আমরা গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে তারা বুলেট বিক্রি করার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত করছে।’’
বুলেট-সহ দুই বিজেপি নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। এ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে ওরাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিল, গুলি-বোমা নিয়ে তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। অথচ তাদের কাছেই এই সমস্ত জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ এর তদন্ত করবে।’’
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই দু’জনকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। বিজেপির বারাসত জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ‘‘বাসুদেব চক্রবর্তীর কাছে বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে। সেই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের তারিখ এসে যাচ্ছিল। ওর কাছে সমস্ত নথিপত্রও আছে। তৃণমূলের প্ররোচনায় পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়েছে।’’