হুগলির পোলবায় পুলিশের লকআপে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।
চোর সন্দেহে ধৃত যুবককে পিটিয়ে মেরেছে পুলিশ। হুগলির পোলবায় পুলিশের লকআপে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। মৃত যুবকের নাম শুভঙ্কর হাজরা (২০)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝাপানতলার বাসিন্দা রবীন ঘোষের বাড়িতে মঙ্গলবার চুরি হয়। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে শুভঙ্কর হাজরা ও সৌমেন মালিক। ঘটনাস্থলেই স্থানীয়রা দু’জনকে বেধড়ক মারধর করে। পরে পোলবা থানার পুলিশ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। বুধবার রাতে থানার লকআপেই মৃত্যু হয় শুভঙ্করের। আর সৌমেনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃতের পরিবারের দাবি, পুলিশ লকআপেই তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পরে, বৃহস্পতিবার সকালে চুরি হয়েছে যে বাড়িতে, সেই বাড়ির মালিক রবীন ও তাঁর পরিবারের লোকেদের তুলে নিয়ে যায় শুভঙ্করের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদেরকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পোলবা থানার পুলিশ। তাঁদের পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে শুরু হয় গন্ডগোল। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
পুলিসের দাবি, সৌমেন ও শুভঙ্কর দু’জনকেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। বুধবার বিকেলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় দু’জনকেই চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় শুভঙ্করের। এর পরেই হাসপাতাল থেকে পোলবা থানায় মৃত্যুর খবর আসে। কিন্তু পরিবারের লোকের অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে শুভঙ্করের। পরিবারের লোককে না জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, কোর্ট লকআপে অসুস্থ হলে অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।