তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রবীর কয়ালের বাড়িতে অভিযান চালাল সিবিআই। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রবীর কয়ালের বাড়িতে অভিযান চালাল সিবিআই। প্রবীরের বাড়ি ছাড়াও তাঁর দু’জন পরিচিতের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকেরা তল্লাশি শেষে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি এবং মোবাইল ফোন।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওড়ার শ্যামপুর থানার অন্তর্গত কাঠানালি গ্রামে প্রবীরের বাড়িতে যায় সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। বাড়িতে ঢুকেই তাঁরা প্রবীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করার পাশাপাশি নথিও যাচাই করতে শুরু করে দেন। প্রবীর ছাড়াও শ্যামল কয়াল ও সুনীল মণ্ডল নামে প্রবীরের দুই আত্মীয়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের অন্য দু’টি দল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপসকে জেরা করে শ্যামপুরের তিন জনের নাম উঠে আসে। সেই তিন জনের বাড়িতেই শুক্রবার তল্লাশি চালায় সিবিআই। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। সকলের মোবাইল ফোন এবং বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের তল্লাশি নিয়ে প্রবীর জানান, “আমি আগেই জেল খেটেছি। তাপস বাবু যা বলতেন তাই করতাম। ওনার কথামতো টাকা এনে পৌঁছে দিয়েছি। প্রায় তিরিশ চল্লিশ জনের থেকে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা তুলে দিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “সিবিআইয়ের সঙ্গে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব।”
গত বছর এপ্রিল মাসে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্তসহায়ক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখা। ২০১৬ সাল থেকে বিধায়কের আপ্তসহায়ক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন বছর চল্লিশের প্রবীর। যদিও প্রবীরের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন তেহট্টের বিধায়ক।
অন্যদিকে শুক্রবার বিকেল থেকে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি। তাপসকে নিয়ে বেতাইয়ের বি আর আম্বেদকর কলেজেও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে তাপসকে। রাতে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।