শুভেন্দু অধিকারীকে মানহানির নোটিস অপরূপা পোদ্দারের। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে তাঁকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিকে মানহানির নোটিস পাঠালেন হুগলির আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় একটি অভিযোগও করেছেন ওই তৃণমূল সাংসদ। অপরূপার এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে বিজেপি।
অপরূপার আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, আরামবাগের সাংসদের নামে ভুয়ো চিঠি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপির ওই আইনজীবী নেতা। জয়দীপের কথায়, ‘‘অপরূপার নাম করে একটি ভুয়ো চিঠি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন ওই দু’জন। তাতে বলা হয়েছে, তিনি নাকি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। আমার মক্কেল অপরূপা এই চিঠির সত্যতা সম্পর্কে সন্দিহান। আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা দু’জনকেই মানহানির নোটিস পাঠিয়েছি।’’ ওই দু’জন অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে আদালতে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অপরূপার আইনজীবী।
এ নিয়ে অপরূপা বলেন, ‘‘শুভেন্দু’দা এবং তরুণজ্যোতি তিওয়ারি’দাকে সম্মান দিয়েই বলছি, আপনাদের বিরুদ্ধে কেস করলাম। শ্রীরামপুর থানাতেও অভিযোগ করলাম। এ বার আসল তথ্য সামনে আনুন। আদালতে দেখা হবে।’’ এ নিয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) অরবিন্দ আনন্দ জানিয়েছেন যে, বিষয়টি নিয়ে একটি জেনারেল ডায়েরি করেছেন সাংসদ।
অপরূপার আইনি পদক্ষেপ নিয়ে নাটাবাড়ির প্রবীণ বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘যে সাংসদ বিরোধী দলের নেতাকে ন্যূনতম সম্মান না দেখিয়ে তুইতোকারি করে অসম্মান করতে পারেন, তাঁর পক্ষে যে কোনও ধরনের অন্যায় করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। অভিযোগ যখন উঠেছে তখন তার বিচার আইনত হবে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেস নামক প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের প্রকৃত চেহারা রাজ্যের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। এর জন্য় বাংলার মানুষের সমর্থন তাঁর প্রতি দিন দিন বাড়ছে। সাংসদ যতই অসম্মানজনক কথাবার্তা বলুন এবং মামলার হুমকি দিন তাতে বিরোধী দলনেতার জনপ্রিয়তায় কোনও ভাটা পড়বে না। বরং তা দিন দিন বাড়বে।’’
এ নিয়ে তরুণজ্যোতি বলেন, ‘‘আফরিন আলি ম্যাডাম, আপনার নোটিস পেলে উত্তর নিশ্চয়ই দেব। তার আগে তৈরি হন সিবিআইকে উত্তর দেওয়ার জন্য। আর সংস্কৃতির কথা আপনার অথবা আপনার পরিবারের কারও মুখে মানায় না। আপনার স্বামীর সেই বিখ্যাত ভিডিওটা এখনও সংবাদমাধ্যমে খুঁজলেই পাওয়া যাবে। নারদা নিয়ে না হয় নতুন করে না-ই বা বললাম।’’