Bandel

Bandel Station Shutdown: বন্ধ ব্যান্ডেল স্টেশন, ত্রিবেণী-চুঁচুড়া পৌঁছে দিতে তিন গুণ পর্যন্ত ভাড়া হাঁকছে টোটো

চুঁচুড়া স্টেশন থেকে টোটোয় চড়ে বাস স্ট্যান্ড যেতে লাগে ১০ টাকা। এখন সেটাই কোনও টোটোচালক হাঁকছেন ২০ টাকা, কেউ বা আবার ৩০-৪০।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ১৯:৩৩
Share:

টোটোর ভাড়া নিয়ে দরদস্তুর। নিজস্ব চিত্র।

অন্যান্য দিনের সঙ্গে কোনও ভাবেই মিলছে না শনিবারটা। খাঁ খাঁ করছে হুগলির ব্যান্ডেল জংশন। মফস্‌সলের লাইফলাইন আপাতত বিপর্যস্ত। শনিবার তারই শুরু। সেইসঙ্গে শুরু যাত্রী দুর্ভোগেরও।ব্যান্ডেল বন্ধ। তবে চুঁচুড়া থেকে কিছু ট্রেন চলছে হাওড়া অভিমুখে। ত্রিবেণী থেকে ট্রেন চলছে কাটোয়া অভিমুখে আর খন্যান থেকে ধরতে হচ্ছে বর্ধমান জংশনের ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে এত দিন ব্যান্ডেলের মতো এতটা সচকিত না হয়ে কাটানো স্টেশনগুলো আচমকাই জেগে উঠেছে বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের পায়ের শব্দে। সেইসঙ্গে খুলে গিয়েছে একটি ভিন্ন দিকও। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের জন্য ব্যান্ডেলের রেল পরিষেবা কিছুটা বেসামাল হতেই ঝোপ বুঝে কোপ মারতে শুরু করেছেন টোটোচালকরা। তাতে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও কয়েক গুণ বেড়েছে বই কমেনি।

Advertisement

এই যেমন চুঁচুড়া স্টেশন থেকে টোটোয় চড়ে বাস স্ট্যান্ড যেতে লাগে ১০ টাকা। এখন সেটাই কোনও টোটোচালক হাঁকছেন ২০ টাকা, কেউ বা আবার ৩০-৪০। আবার খন্যান বা ত্রিবেণী স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে অটো-টোটো বদলে চুঁচুড়ায় পৌঁছতেও গুনতে হচ্ছে অনেক বেশি ভাড়া। সেই অসুবিধার কথাই বললেন ত্রিবেণী স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা শতদ্রু পাল নামে এক যাত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এতে অসুবিধা হচ্ছে। খরচও কয়েক গুণ বেড়েছে। কারণ টানা কোনও গাড়ি নেই। ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। আর টোটো ভাড়া আচমকাই যেন দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে।’’

মুনমুন দত্ত নামে চুঁচুড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রীরও একই সুর। তিনি বলছেন, ‘‘এই ক’দিন ব্যান্ডেল বন্ধ থাকবে। তাতে হয়তো পরবর্তী কালে ভালই হবে। কিন্তু কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। গতকাল ১০ টাকায় যে রাস্তা গিয়েছিলাম আজ তার জন্য দিতে হল ৩০ টাকা। কাকে অভিযোগ করব!’’

Advertisement

অশোক দাস নামে এক টোটোচালক অবশ্য বেমালুম বললেন, ‘‘দূরত্ব হিসাবে ভাড়া নিচ্ছি আমরা। আমাদের কাছে এটা মোটেই বেশি মনে হচ্ছে না। এমনিতে ৪০ টাকা ভাড়া পড়ে। সেখানে আমরা ৩০ টাকা নিচ্ছি। শুধ এই কয়েক দিনের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। ট্রেন ঠিক হলে আবার ভাড়াও কমে যাবে।’’

বর্ধমান বা কাটোয়া থেকে সরাসরি হাওড়া যাওয়া যাচ্ছে না। খন্যানে নেমে বাস, অটো অথবা টোটো করে চুঁচুড়া পৌঁছে ট্রেন ধরছেন যাত্রীরা। অনেকে আবার ফেরিঘাট পেরিয়ে শিয়ালদহ লাইনের ট্রেন ধরছেন। ফলে ফেরিতেও ভিড়।

একে সাধারণ দিনের থেকে ট্রেন কম, আবার অন্য স্টেশনের যাত্রীদের ভিড় আছড়ে পড়েছে চুঁচুড়ায়। তার উপর বিপত্তি স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যাও কমে যাওয়ায়। শনিবার চুঁচুড়া স্টেশন থেকে ১৮ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে জানানো হয়েছিল পূর্বরেলের তরফে। শনিবার অবশ্য ১৪ জোড়া ট্রেন চলছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে চুঁচুড়া স্টেশনে হাওড়া থেকে টেকনিক্যাল স্টাফদের নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁরা পালা করে ডিউটি করছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement