উদ্ধার খুনের অস্ত্র। — নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া কুমারী হত্যার মাস দেড়েকের মাথায় উদ্ধার হল খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি। সোমবার বাগনানের চন্দ্রপুরের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। এমনটাই জানা গিয়েছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে। এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ।
বাগনানের চন্দ্রপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যেখানে রিয়াকে গুলি করা হয়েছিল সোমবার বাগনান থানার পুলিশ এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের গোয়েন্দারা সেখানে যান। ওই জায়গার আশপাশের ঝোপে তল্লাশি চালান তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড়শো ফুট দূরে ঝোপের মধ্যে থেকে একটি ওয়ান শটার উদ্ধার করা হয়েছে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ওই এলাকাতেই খুন হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া। ওই ঘটনায় রিয়ার স্বামী প্রকাশ কুমার, দেওর-সহ মোট ৪ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী বাঙ্গালিয়া। তিনি জানিয়েছেন, প্রকাশ তাঁর স্ত্রী রিয়াকে সন্দেহ করতেন। রিয়ার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল তাঁর। এ ছাড়া পারিবারিক বিবাদও ছিল। রিয়ার উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করা হত বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় রিয়া পুলিশের কাছে প্রকাশের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেছিল বলেও জানিয়েছেন স্বাতী। তাঁর বক্তব্য, রিয়াকে খুন করার ছক কষেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রকাশ। এ ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না বলেও দাবি পুলিশের।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, সোমবার উদ্ধার হওয়া ওয়ান শটারটি মোহিত কুমার নামে বিহারের এক বাসিন্দার থেকে কিনেছিলেন প্রকাশ। তা কেনার জন্য মোহিতের সঙ্গে প্রকাশ যোগাযোগ রাখতেন নিজের মেয়ের মোবাইলের মারফত। প্রকাশের মেয়ের মোবাইল পরীক্ষা করে তা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, প্রকাশের ইচ্ছা ছিল নাইন এমএম পিস্তল কেনার। কিন্তু শেখ মুহুর্তে তাকে ওয়ান শটার দেয় মোহিত। তদন্তকারীরা এ-ও জানিয়েছেন, মোহিত প্রকাশকে পরামর্শ দিয়েছিল, খুব কাছ থেকে গুলি করতে।