ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রিজে নানা ধরনের চকোলেট সাজানো থাকে। কিন্তু খেতে ভয় হয়। বেশি চকোলেট খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। আবার ডায়াবিটিস থাকলেও বিপদ। বেশি মিষ্টি খাওয়া যায় না। কিন্তু অনেকের ধারণা, সাধারণ চকোলেট সমস্যা হলেও তিতকুটে ‘ডার্ক’ চকোলেট ততটা খারাপ নয়। তা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
পুষ্টিবিদ ইন্দ্রাণী ঘোষের মত হল, “ডার্ক চকোলেট খাওয়া ভাল। তবে তা খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড। প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। এ ছাড়াও এন্ডরফিন হরমোন ক্ষরণেও ডার্ক চকোলেটের ভূমিকা রয়েছে। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।”
রোজ ডার্ক চকোলেট খাওয়া যায় কি?
কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া যায় না। ডার্ক চকোলেটের ক্ষেত্রেও সেই নিয়মের অন্যথা হওয়ার কথা নয়। ইন্দ্রাণী বলেন, “ডার্ক চকোলেট কোকো থাকে প্রায় ৭০ শতাংশ। দুধ, চিনির পরিমাণ অন্যান্য চকোলেটের তুলনায় কম থাকে। কিন্তু ক্যালোরি বেশি। তাই অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হবে। এ ছাড়া ডার্ক চকোলেটে ক্যাফিনও থাকে। বেশি খেলে ঘুমেরও বারোটা বাজতে পারে।”
রোজ ঠিক কতটা পরিমাণ ডার্ক চকোলেট খাওয়া যেতে পারে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজ ডার্ক চকোলেট না খাওয়াই ভাল। তবে যদি খেতেই হয় তা হলে ৩০ থেকে ৬০ গ্রামের বেশি যেন না হয়।